একনজরে

10/recent/ticker-posts

eating on floor মেঝেতে বসে খাওয়া কী স্বাস্থের পক্ষে ভাল? জেনে নিন যুক্তি গুলো


মেঝেতে বসা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

খোশখবর ডেস্কঃ টেবিল- চেয়ারে বসে কাঁটাচামচ এবং ছুরি দিয়ে খাওয়া ভারতীয় ঐতিহ্যের অংশ ছিল না। প্রথম দিকে মানুষ মেঝেতে বসেই খেতেন। একটা সময় ছিল যখন বেশিরভাগ বাড়িতেই মেঝেতে আসন পেতে দুপুর বা রাতের খাওয়া হত। এমনকি অনুষ্ঠান বাড়িতেও লোকে মেঝেতে বসেই খেত। কিন্তু এখন মেঝেতে বসে খাওয়ার চল প্রায় নেই বললেই চলে। অনুষ্ঠান বাড়িতে তো বটেই, আজকের দিনে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই টেবিল-চেয়ারে বসে খাওয়ার চল।

কিন্তু স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুরানো অভ্যাস ফেরানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বলা হচ্ছে আমাদের পূর্বপুরুষরা খাওয়ার সময় মেঝেতে বসতেন তার কারণ রয়েছে। আয়ুর্বেদে আছে, মেঝেতে বসা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। মাটিতে বাবু হয়ে বসে খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের একাধিক উপকার হয়।

হজম ভালো হয়

মেঝেতে বসে খাওয়ার সময় আমরা যেভাবে হাঁটু ভাজ করে বাবু হয়ে বসি, সেটা হল সুখাসনের ভঙ্গি। সুতরাং একই সময়ে বসা, খাওয়া এবং যোগাসনও হয়ে যায়। এই ভাবে বসলে পেটের তলদেশে চাপ পড়ে এবং এই ভঙ্গি মানসিক উদ্বেগ থেকেও মুক্ত করে। হজম শক্তি আরও ভালো করে।



ওজন কমায়

খাওয়ার সময় মেঝেতে বসলে ভেগাস নার্ভ মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে আপনি পরিতৃপ্ত হয়েছেন কি না বা আপনার পেট ভরেছে কি না। টেবিল-চেয়ারে বসে খেলে, এই স্নায়ু ঠিকমতো কাজ করে না। ব্রেনে সংকেত পাঠাতে পারে না। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে। ফলে মেঝেতে বসে খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার সুযোগ থাকে না।

ফ্লেক্সিবিলিটি বা নমনীয়তা তৈরি হয়

মেঝেতে খেতে বসার সময় হাঁটু যেভাবে বাঁকাতে হয়, তাতে হাঁটুর ভালো ব্যায়াম হয়। শরীরের নীচের অংশের গাঁটগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে কোনও ব্যথা বা বেদনা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এই অভ্যাসটি আমাদের শরীরকে আরও শক্তিশালী এবং ফ্লেক্সিবল বা সহজ করে তুলতে পারে। কিন্তু চেয়ারে বেশিক্ষণ বসে থাকলে পিঠে, নিতম্বে ব্যথা হয় এবং সেগুলো শক্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে।



একনজরে মেঝেতে বসে খাওয়ার উপকারিতা

যখন আপনি মাটিতে বসে খাবেন, তখন আপনাকে ক্রমাগত সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে, যার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে কাজ করে। এ কারণে রক্ত পাম্প করতে হার্টকে কম পরিশ্রম করতে হয়।

মাটিতে বসে খাওয়ার ফলে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চাপ পড়ে এবং এখানকার পেশীগুলোও শক্তিশালী হয়। 

আমরা যখন মেঝেতে বসে খাই, তখন আমাদের হাঁটু বাঁকিয়ে খেতে হয়। এটি হাঁটুর জন্য সেরা ব্যায়াম। এভাবে বসলে জয়েন্টের ব্যথা থেকেও আরাম পাওয়া যায়।


মাটিতে বসে খাওয়া এমনকি হৃদরোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। মাটিতে বসে খাবার খেলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন সহজ হয়, যার ফলে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না।

আমরা নিয়মিত চেয়ারে বসে খেলে আমাদের পেছনের অংশ শক্ত হয়ে যেতে পারে, মাটিতে বসে খাওয়ার সময় পেছনের অংশ সহজেই প্রসারিত হতে পারে।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ