খোশখবর ডেস্কঃ অ্যালোভেরার উপকারিতার কোনও জুড়ি নেই – একে স্বাস্থ্যের পরশমণি হিসেবে মানা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অ্যালোভেরাকে ঘৃতকুমারি নামে ডাকা হয়। । ত্বকচর্চা হোক বা হজম শক্তির বৃদ্ধি, ওজন কমানো হোক বা স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই বিপুল চাহিদা রয়েছে অ্যালোভেরার। এজন্য একে পরশমণি হিসেবে মানা হয়। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিকঅ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনএ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদিতে ভরপুর অ্যালোভেরা। বহু প্রাচীনকাল থেকেই এটি রুপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার খুবই পরিচিত। চুলকানির চিকিৎসায় খুবই কাজে লাগে এই বনৌষধি । এই পাতার রস ত্বকের উপর লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে। অ্যালোভেরা র্যাশ ওঠার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। এই পাতার রস রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রেও উপকারী।
অ্যালোভেরা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে কন্ডিশনারের কাজ করে। এতে থাকে প্রটিওলাইটিক এনজাইম। এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে, চুল পড়া রোধ করে এবং খুশকি প্রতিরোধে কাজ করে। শীতের সময় চুলের রুক্ষতা দূর করতেও ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। এর রস আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার রস খেলে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অন্যদিকে হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় 'খোশখবর'