একনজরে

10/recent/ticker-posts

launch Successful মিশন প্রাথমিকভাবে সফল, চাঁদের দেশের পথে 'চন্দ্রযান-৩'


সাফল্যের সঙ্গে 'চন্দ্রযান-৩'-এর উৎক্ষেপনের জন্য বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

খোশখবর ডেস্কঃ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শুক্রবার নির্ধারিত ঠিক ২টো ৩৫ মিনিটে সময়ে লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩র পিঠে চড়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল 'চন্দ্রযান-৩'।পরিকল্পনা মাফিক কয়েকটি ধাপ পেরোনোর পরই মিশন প্রাথমিকভাবে সফল বলে জানিয়ে দেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ হল 'চন্দ্রযান-৩' বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট।এটি একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান।শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই তৈরি হয়েছে শক্তিমান এই হেভিয়েস্ট জিএসএলভি।

আরও পড়ুনঃ মিশন চন্দ্রযান-৩, ইতিহাস তৈরির পথে ইসরো

চন্দ্রযান-২ থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার সাফল্য পেতে কোমর কষে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদের পিঠে নামাতে গিয়ে গতির সমস্যায় তা আছড়ে পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে।এবার চাঁদে এটি সফট ল্যান্ডিং করবে। এই ল্যান্ডিংটাই এবার চ্যালেঞ্জ। চন্দ্রযান-২ এর অরবিটর এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলায় এ বারের অভিযানে মুনের মাটিতে নামতে কক্ষপথে থাকা সেই অরবিটারেরই সাহায্য নেওয়া হবে।
'অরবিটাল ডায়নামিকস' অনুসারে, চাঁদে পাড়ি দিতে ১২ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই চন্দ্রযানের সবচেয়ে কম জ্বালানি লাগার কথা,তাই উৎক্ষেপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে এই সময়টাকে।সাফল্যের সঙ্গে 'চন্দ্রযান-৩'-এর উৎক্ষেপনের জন্য বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ দুর্গা ঠাকুরের মত বয়ে নিয়ে যাওয়া হল চন্দ্রযানকে, ভিডিও প্রকাশ ইসরোর

এবারের মিশনেও ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’ ও রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। ২৩ অগস্ট, ২০২৩ চন্দ্রযানের রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর চাঁদের মাটিতে নেমে পড়ার কথা। রোভার চাঁদে সফলভাবে ল্যান্ড করলে বিরাট ইতিহাস তৈরি হবে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে ভারতের ল্যান্ডার সফলভাবে চাঁদে পৌঁছবে।কিন্তু সেখানে নেমে কী করবে রোভার? আসলে চাঁদে হালকা ভাবে নামা সফল হলে সেখানকার মাটি পরীক্ষা,খনিজ নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি আবহাওয়া ইত্যাদি নিয়ে নানা তথ্য পাঠাবে যানটি।চাঁদের মাটিতে নেমে ১ চান্দ্র দিন বা পৃথিবীর ১৪ দিনের গবেষণা চালাবে ইসরো।সহায়তার ক্ষেত্রে সঙ্গে থাকবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং নাসা।

 তথ্য ও ছবিঃ ইসরো ও অনান্য ওয়েবসাইট


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ