খোশখবর ডেস্কঃ ফি বছর অক্টোবরের শেষ রবিবার ঘড়ির সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেয় ইউরোপ।এবছর ২৬ ২৬ অক্টোবর সেই ঘড়ির কাঁটা পিছোনোর দিন।কেন এই নিয়ম জানেন? এর পিছনে আছে ডে-লাইট সেভিংস টাইম( DST) নিয়ম - যার মূল লক্ষ্য হল দিনের আলোকে সবচেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত কাজে লাগানো।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের রিপোর্ট অনুসারে এটি প্রথম চালু হয় ১৯১৬ সালে জার্মান ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যে।উদ্দেশ্য ছিল জ্বালানির সাশ্রয়।পরবর্তীকালে ১৯৭০-এর দশকে তেল সংকটের পর অনেক দেশ এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এতে মার্চ মাসে ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে এবং অক্টোবরে আবার পিছিয়ে দেওয়া হয়।
ঘড়ির কাঁটা সরানো হয় কেন?
ব্যাপারটা খুলে বলা যাক।গ্রীষ্মকালে সূর্য খুব ভোরে ওঠে ও দেরি করে অস্ত যায়। তখন ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে দেওয়ার ফলে সন্ধ্যার আলোতে বেশিক্ষণ কাজ করা যায়। একে বলে সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সামার টাইম। আর ঘড়ির হিসেবে সন্ধ্যে না নামায় আলো ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ফের আবার অক্টোবর মাস এলে দিন ছোট হতে শুরু করে।তখন ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিয়ে শীতকালীন সময় বা সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইমে ফিরিয়ে আনা হয়।
![]() |
| https://www.youtube.com/@Khoshkhobor |
ইউরোপিয়ান টাইম, সামার টাইম ব্যাপারটা কী?
২৬ অক্টোবর (রবিবার) ইউরোপে ঘড়ি এক ঘণ্টা পিছিয়ে সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সামার টাইম (CEST) থেকে সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম (CET)-এ ফিরে যাবে।বর্তমানে ইউরোপে CET থকে CEST পরিবর্তন হয়, আর ব্রিটেনে বা যুক্তরাজ্যে GMT থেকে ব্রিটিশ সামার টাইম (BST)তে পরিবর্তিত হয়।হিসেব বলছে বিশ্বের প্রায় ৩৫% দেশ এই ডে-লাইট সেভিংস টাইম অনুসরণ করে। তবে অনেকেই ইউরোপে এই ডে-লাইট সেভিংস প্রথায় আপত্তি জানিয়ে তাকে ‘সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই’ বলে ব্যাখ্যা করেছে। স্পেন এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।
ডিএসটি বাতিল করা নিয়ে কী বলতে চাইছে স্পেন?
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ২০২৬ সাল থেকেই ডে-লাইট সেভিংস টাইম (DST) প্রথা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন।এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “বছরে দু’বার সময় পরিবর্তনের কোনো মানে হয় না। এতে শক্তি সাশ্রয় প্রায় নেই বললেই চলে, বরং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।” সারকথা হল ইউরোপে ডে-লাইট সেভিংস প্রথা এখন ‘সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই’এবং স্পেনই এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ডে-লাইট সেভিংস বাতিল নিয়ে অন্যরা কী ভাবছেন?
এই DST ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত।স্পেনের সঙ্গে ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ড-এর মন্ত্রীরাও DST বাতিলের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।২০১৮ সালে ইইউ-র পক্ষ থেকে ডে-লাইট সেভিংস টাইম (DST) বাতিলের অঙ্গীকার করা হলেও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঐকমত্যের অভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।তখন এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল ৮৫% ইউরোপীয় নাগরিকই এই প্রথার বিপক্ষে।এক পক্ষ বলে, এতে দিনের আলো ‘এক ঘণ্টা বেশি’ ব্যবহার করা যায়।অন্য পক্ষের মতে, এটি ঘুমের ছন্দ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এবং অর্থনীতিতেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
তথ্যঃ ডয়েচে ভেলে
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

.jpeg)
0 মন্তব্যসমূহ