একনজরে

10/recent/ticker-posts

diabetes Ayurvedic tips ডায়াবিটিস রুখবে প্রকৃতিই, ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে


আর্য়ুবেদ মতে প্রকৃতি থেকেও আপনি পেয়ে যেতে পারেন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল

খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে এর জন্যে মানুষের আধুনিক জীবনযাত্রাই দায়ী।নারী-পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হচ্ছেন শরীরে শর্করার হানায়। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। এখন ছোটদের মধ্যেও ডায়াবিটিসের প্রবণতা ও সংখ্যা বাড়ছে। করোনা কালে লকডাউনে সেই সংখ্যাটা কিন্তু অনেকটাই বেড়েছে।

আমাদের জীবনযাত্রায় অনিশ্চয়তা,প্রতিদিন আরও ভাল থাকার লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস বেড়েছে অনেকখানি। সেই সঙ্গে একটা বিশাল অংশের মানুষজনের একটানা বসে কাজ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বাইরের খাবার বেশি খাওয়া এই সব তো আছেই। ডায়াবিটিস অজান্তেই আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। বিশেষত চাপ পড়ে কিডনি, চোখ ও হার্টে। আর তাই চিকিৎসকদের মত, সকলেরই উচিত বছরে অন্তত একবার ডায়াবিটিস পরীক্ষা করে দেখা।চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েটও কিন্তু জরুরি।এছাড়া আর্য়ুবেদ মতে প্রকৃতি থেকেও আপনি পেয়ে যেতে পারেন ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল।



করলাঃ আমাদের দেশে সারাবছরই প্রচুর পরিমাণে করলা পাওয়া যায়। আর তাই প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে একটা গোটা করলা সিদ্ধ খেতে পারলে লাভ আছে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলার ভূমিকা অনেকটাই। এছাড়াও করলার তরকারি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।



আমলকিঃ আমলকি ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস এবং রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঁচা আমলকি খেতে পারেন, অথবা এক কাপ করলার রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আলমার রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন।


আম পাতাঃ আম পাতা ডায়াবিটিসের চিকিৎসাতে কিন্তু ভীষণ ভাবে কার্যকরী। যদিও অনেকেই তা জানতেন না। কচি আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। সকাল আর সন্ধ্যায় দু গ্লাস করে খেতে পারলে কিন্তু উপকার পাবেন।



মেথিঃ সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভীষণ ভাল কাজ করে মেথি। মেথি আমাদের ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দু চামচ মেথি এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এবার সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। রোজ খালি পেটে এই জল খেলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে কিন্তু ফ্যাটও কমে।



দারুচিনিঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে দারুচিনি শুধু রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাই নয়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দারুচিনি আমাদের ইনসুলিনের ক্ষরণ রাখে নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন এককাপ জলে ২ ইঞ্চি দারুচিনি ভিজিয়ে রাখুন। এবার পর দিন সকালে সেই জল খান। এতেও কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।



সজনে শাকঃ সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এছাড়াও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খুব ভাল কাজ করে এই পাতা। আর তাই প্রতিদিন গরম ভাতের সঙ্গে সজনে পাতা ভাজা করে খেতে পারেন। এতেও কিন্তু সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।



[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ