একনজরে

10/recent/ticker-posts

Plastic Pollution Facts প্লাস্টিক ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েছে মানুষ, দূষণের তথ্য জানলে চমকে যাবেন


দশ বছরে আমরা গত শতাব্দী জুড়ে যা প্লাস্টিক তৈরির প্রয়োজন ছিল তার তুলনায় বেশি প্লাস্টিক উৎপাদন করেছি।

খোশখবর ডেস্কঃ গত কয়েক দশকে গোটা পৃথিবী জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার। সোজা কথায় প্লাস্টিকের জিনিষ ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েছে আজকের মানুষ।পৃথিবীজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়।বেশ কিছু রিপোর্ট জানাচ্ছে যে এর ৫০ শতাংশই হয় একক-ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ মাত্র কয়েক মুহুর্তের জন্য ব্যবহার করা হয়, তারপর তা এই গ্রহের পেটের ভেতর কয়েকশ বছর ধরে পড়ে থাকে।কারণ প্লাস্টিক সহজে মাটির সঙ্গে মিশে যায় না।তথ্য বলছে যে প্রতি বছর ১০মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিক আমাদের মহাসাগরে ফেলে দেওয়া হয়।



কখনও কখনও প্লাস্টিক আমাদের খুব কাজে লাগলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার আমাদের গোটা জীবকূলকে বিপদে  ফেলে দিয়েছে।এবারে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হল  #BeatPlasticPollution  বা প্লাস্টিক দূষণকে রুখে দেওয়া।

• প্লাস্টিক ব্যবহারের একটা বিপুল অংশ লাগে প্যাকেজিং ক্ষেত্রে। মোট প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রায় ৪০% ব্যবহৃত হয় এই ক্ষেত্রেই।



• বছরে,আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।অর্থাৎ প্রতি মিনিটে এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।

• অথচ একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের গড় ব্যবহার করার কাল হল মাত্র ১৫ মিনিট।



• গত দশ বছরে আমরা গত শতাব্দী জুড়ে যা প্লাস্টিক তৈরির প্রয়োজন ছিল তার তুলনায় বেশি প্লাস্টিক উৎপাদন করেছি।

• কন্টেনার রিসাইক্লিং ইনস্টিটিউটের মতে, ২০১৪ সালে শুধুমত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০.৭ বিলিয়ন প্লাস্টিক পানীয় জলের বোতল বিক্রি হয়েছিল, যা ব্যক্তি প্রতি ৩১৫টি বোতলের সমান।


• প্লাস্টিকের পানীয় বোতলে ছেয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।বোতলজাত জল তৈরির প্রক্রিয়ায় পাত্রে থাকা বোতলের প্রায় ৬ গুণ বেশি জল প্রয়োজন৷

তথ্য মিলেছে PlasticOceans.org থেকে / ছবি  টুইটার থেকে নেওয়া 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ