একনজরে

10/recent/ticker-posts

Reading Books সবচেয়ে বেশি বই পড়ে ভারতীয়রা, ইউরোপ-আমেরিকা নয় - বই পাঠে এগিয়ে এশিয়ার মানুষ


 স্কুল-কলেজের পাঠ্যটুকু বাদ দিলে গোটা পৃথিবীতেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার নেশা।

খোশখবর ডেস্কঃ টেলিভিশনের সর্বগ্রাসী রাজত্ব কিছুটা ধাক্কা খেলেও ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন বুঁদ গোটা বিশ্ব।ফলে ধাক্কা খেয়েছে বই পড়ার মত গুরুত্বপূর্ণ ও অতি প্রয়োজনীয় বিষয়।এখন ছোটরাও রূপকথার গল্প বইয়ে পড়ে না, ভিডিও আকারে দেখে নেয় ইউটিউব বা অন্য কোনও উপায়ে। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে এতে বই পড়ার অভ্যেসটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ছোটবেলা থেকেই।ফলে স্কুল-কলেজের পাঠ্যটুকু বাদ দিলে গোটা পৃথিবীতেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার নেশা। লাইব্রেরি হোক বা বাড়ি সর্বত্রই কমছে বইয়ের সংখ্যা।তবে ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স তাদের টুইটার প্রোফাইলে তথ্য দিয়ে জানিয়েছে যে বই পড়ার এমন সংকটের সময়েও ভারতের মানুষ বই পড়েন সবচেয়ে বেশি। তাদের হিসেব বলছে ভারতে প্রতি সপ্তাহে একজন ব্যক্তি বই পড়তে গড়ে ১০ ঘণ্টা ৪২ মিনিট সময় খরচ করেন। ভারতের পরেই এই তালিকায় আছে থাইল্যান্ড (০৯.২৪), চিন (০৮.০০), ফিলিপাইন (০৭.৩৬), মিশর (০৭.৩০) দেশের নাম।হিসেবে দেখা যাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের তুলনায় এশিয়াতেই বই পড়ার হার বেশি। 



বই পড়ার হারে পৃথিবীর উন্নত দেশ বলে গর্ব করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই পিছিয়ে।ইউএসএতে প্রতি সপ্তাহে একজন ব্যক্তি বই পড়ে গড়ে মাত্র ০৫.৪২ ঘন্টা। মেক্সিকোয় ০৫.৩০ ঘন্টা, ব্রাজিলে ০৫.১৫ ঘন্টা।যদিও আর্জেন্টিনায় তা ০৫.৫৪ ঘন্টা।

Pix/ image  from pixabay


আমেরিকার মত খারাপ দশা না হলেও ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স –এর গ্রাফ অনুসারে ইউরোপের মানুষের পড়ার অভ্যাসও খুব খারাপ।যেমন সুইডেনে সপ্তাহে ব্যক্তি বই পড়ার সময়ের গড় মাত্র ০৬.৫৪ ঘন্টা, ফ্রান্সে ০৬.৫৪ ঘন্টা এবং হাঙ্গেরিতে ০৬.৪৮ ঘন্টা।

Pix/ image  from pixabay


তবে উন্নত দুনিয়া বেশি বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হওয়াতেই কী হাতে করে বই পড়ার ব্যাপারটা কমছে? মোবাইল, ট্যাবলেট বা কিন্ডেল জাতীয় হ্যান্ডসেটেই কী পড়ার স্বাদ নিয়ে নিচ্ছে মানুষ? যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে অতি উন্নত দেশ বলে পরিচিত জাপানে সপ্তাহে গড় বই পাঠের সময় মাত্র ০৪.০৬, দক্ষিণ কোরিয়ায় ০৩.০৬ ঘন্টা। তবে যে যাই বলুন, দু মলাটে বন্দি হয়ে থাকা একটা বই হাতে নিয়ে পড়ার আনন্দই আলাদা।

তথ্যসূত্রঃ ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স @স্ট্যাটাস_ফিড টুইটার প্রোফাইল 

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ