একনজরে

10/recent/ticker-posts

Chandrayaan3 Vs Luna25 ভারত না রাশিয়া – কে আগে ছোঁবে চাঁদের দক্ষিণমেরু - কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?


চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের ল্যান্ডার ও রোভার নামার সেই বহু প্রতিক্ষিত মুহূর্ত উপস্থিত হতে চলেছে অগস্টের চতুর্থ সপ্তাহেই

খোশখবর ডেস্কঃ আর শুধু সময়ের অপেক্ষা।চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের ল্যান্ডার ও  রোভার নামার সেই বহু প্রতিক্ষিত মুহূর্ত উপস্থিত হতে চলেছে অগস্টের চতুর্থ সপ্তাহেই। চন্দ্রযান-৩, ভারতের চন্দ্র অভিযানের তৃতীয় মিশন যাত্রা শুরু করেছে গত ১৪ জুলাই। ১লা অগস্ট পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের পথে রওনা দেয় চন্দ্রযান। গত ৫ অগস্ট চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চন্দ্রের কক্ষপথে প্রবেশ করে। ১৭ অগস্ট প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয় ল্যান্ডার।এবার চাঁদের দক্ষিণমেরুতে অবতরণের পালা।আগামী ২৩শে অগস্টই চাঁদে অবতরণের নির্ধারিত দিন।সেই দিনের অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন ইসরোর বিজ্ঞানী থেকে ভারতের সাধারণ মানুষ।




চাঁদের পথে রাশিয়ার মহাকাশযানও

ভারতের অভিযানের পরে চাঁদের পথে পাড়ি দেয় রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৫।১০ অগস্ট লুনা-২৫ উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়া।তবে রাশিয়ার চন্দ্র অভিযানের শুরু বহু বছর আগেই।১৯৭৬ সালে সোভিয়েত-যুগের আইকনিক লুনা- ২৪ মিশনের পর থেকে প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে এটি প্রথম অভিযান ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের।গত ১০ অগস্ট যাত্রা শুরু করলেও একেবারে সরাসরি পথে যাওয়ার জন্য কিছুটা কম সময়েই (প্রায় ১১ দিনে) চাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে লুনা।২১ থেকে ২৩ অগস্টের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে নামার কথা রুশ মহাকাশযানের।

আরও পড়ুনঃ মিশন চন্দ্রযান-৩, ইতিহাস তৈরির পথে ইসরো

চন্দ্র অভিযানের লড়াইয়ে মানুষ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে একই সপ্তাহে চাঁদের মাটিতে নামার পরিকল্পনা করছে পৃথিবীর দুটি দেশের মানুষ।যেন চন্দ্রযান -৩ বনাম লুনা-২৫এর রেস চলছে।কোন চন্দ্র মিশন আগে অবতরণ করতে পারবে চাঁদের মাটিতে? কিছু মানুষ এমনটা ভাবলেও সেভাবে ভাবতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। ISRO-এর প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ডঃ কে সিভান সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে,আমি আনন্দিত যে রাশিয়াও চাঁদের মিশনে যাত্রা করছে। মহাকাশ অনুসন্ধানে বৈশ্বিক অংশগ্রহণ মানুষের কৌতূহল এবং আবিষ্কারের চেতনাকে প্রসারিত করবে।অর্থাৎ কে আগে কে পরে চাঁদে নামল সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।প্রতিটি মিশন থেকে অর্জিত জ্ঞানই আমাদের (মানবজাতি) সমৃদ্ধ করবে।


আসলে হালকা হওয়ার কারনেই চাঁদের দেশের দিকে দ্রুত যাচ্ছে লুনা-২৫। রুশ মহাকাশযানের লিফট-অফ ভর মাত্র ১,৭৫০ কিলোগ্রাম যেখানে চন্দ্রযান-৩ এর লিফট-অফ ভর ৩৮০০ কেজি।চন্দ্রযান-৩-এর জ্বালানি-বহন ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু লুনা-২৫এর উদ্বৃত্ত জ্বালানি সঞ্চয় করার সুবিধে রয়েছে।হালকা ভর ও বেশী জ্বালানি লুনাকে সুবিধে এনে দিয়েছে।



ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানী ক্রিসফিন কার্তিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে এইরকম প্রতিটি মিশন থেকে অর্জিত জ্ঞান এই উপগ্রহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ কর বে। ফলে বিভিন্ন দেশের মিশন আলাদা করে হলেও সম্মিলিতভাবে এই প্রচেষ্টার মূল্য রয়েছে অনেক।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ