একনজরে

10/recent/ticker-posts

Salar de Uyuni পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না ‘সালার দে উয়ুনি’! কোথায় আছে এই মায়াবী জগৎ?

 
'সালার দে উয়ুনি'। বলিভিয়ার এমন জায়গাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না!

খোশখবর ডেস্কঃ নীচে জল আর তার উপরে চারিদিকে নীল-সাদা মেঘের সারি,আর তার ঠিক মাঝখানে আপনি।দেখলে মনে হবে আপনি মেঘের রাজ্যেই ঘোরাঘুরি করছেন।এইরকম স্বপ্নের মায়াজাল বিছিয়ে রাখা জায়গা কোথায় আছে জানেন? তার নাম 'সালার দে উয়ুনি'।বলিভিয়ার এমন জায়গাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না যেখানে গেলে আপনি নিশ্চিত হারিয়ে যাবেন এক  আরশিনগরে।

গরমের সময় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুধুই শূন্যতা আর বৃষ্টি হলেই এই জায়গা পরিণত হয়  প্রাকৃতিক আয়নায়। ভরে ওঠে লবন হ্রদ।যেখানেই পা রাখবেন সেখানেই দেখবেন আপনার প্রতিচ্ছবিমেঘের রাজ্য নাকি মাটি বোঝাটাই দায় হয়ে যায় তখন।মনে হতেই পারে এখান থেকেই বোধহয় পৌঁছে যাওয়া যায় স্বর্গ নামক কল্পিত জায়গাটিতে।একটা সময় হাজির হয়ে যায় ফ্লেমিঙ্গোরাও।



  

'সালার দে উয়ুনি' হল পর্যটকদের জন্য দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে অসাধারণ আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি। সাদা, চকচকে লবণের বিস্তীর্ণ বিস্তৃতি আল্টিপ্লানোর ১০,৫৮২ কিলোমিটার জুড়ে।এই দর্শনীয় ল্যান্ডস্কেপটি আন্দিজের চূড়ার কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬৫৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিতআকাশের মেঘের রঙে সেজে ওঠে গোটা এলাকা।তবে প্রকৃতির মায়াখেলা দেখতে যাওয়া পর্যটকদের অসুস্থতা এড়াতে ১০০০ মিটার এবং ২০০০ মিটার উচ্চতায় ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েক দিন  থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এই জায়গা এতটাই বড় যে তা মহাকাশ থেকেও দেখা যায়।জমে থাকা নুনের স্তর সমতলের ১০ মিটার গভীর পর্যন্ত পাওয়া যায়।এখানে আনুমানিক ১০ বিলিয়ন টন নুন রয়েছে।এছাড়াও আরও একটি কারণে এই জায়গা বিখ্যাত।ল্যাপটপ,স্মার্টফোন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহৃত লিখিয়াম ধাতু পাওয়া যায় এই বিপুল পরিমাণ লবনের নীচে।

প্রকৃতির এই আয়নাকে নিজের চোখে একবার যাচাই করে আসতে প্রতিবছর ছুটে যান বহু পর্যটক।  বলিভিয়ার লা পাজ বা চিলির সান পেদ্রো দে আতাকামা হয়ে সালার দে উয়ুনিতে যাওয়াই সবচেয়ে ভাল পথ। তবে বলিভিয়া এবং চিলির পাশাপাশি পেরু এবং আর্জেন্টিনার অন্যান্য অংশের  মধ্যে দিয়েও যান বহু মানুষ।

তথ্য,ভিডিও ও ছবি/সৌজন্যঃ salardeuyuni.com/twitter(x) 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]


[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ