ISRO স্ট্রিমে,৮ মিলিয়নেরও বেশি ইউটিউব ব্যবহারকারী চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান ৩-এর লাইভ সফট ল্যান্ডিং দেখেছেন
খোশখবর ডেস্কঃ সাফল্যের সঙ্গে চাঁদে অবতরণ করে রেকর্ড গড়েছে ইসরো।অতি কম খরচে নিজস্ব প্রযুক্তিতে ভারতের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব।ভারতবর্ষ তো বটেই ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায় এই ঐতিহাসিক ঘটনার সরাসরি সাক্ষী হতে ইউটিউবে চোখ রেখেছিল গোটা বিশ্বের কৌতুহলী মানুষ।হিসেব বলছে ISRO স্ট্রিমে, ৮ মিলিয়নেরও (১ মিলিয়ন= ১০লক্ষ) বেশি ইউটিউব ব্যবহারকারী চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান ৩-এর লাইভ সফট ল্যান্ডিং দেখেছেন।সবথেকে বেশী ভিউয়ারের দেখা লাইভ স্ট্রিমের জন্য ISRO ইতিহাস তৈরি করেছে।
এতদিন এই তালিকার প্রথমে ছিল ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে হওয়া কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ।রিপোর্ট অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন ওই লাইভ স্ট্রিমিং ৬.১৫ মিলিয়ন দর্শক দেখেছিল।এবার ISRO-র যুগান্তকারী এবং অসামান্য কৃতিত্বের জেরে এর লাইভ স্ট্রিম তাকে ছাড়িয়ে ৮ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করে গেছে।
ইউটিউবে চন্দ্রযান ৩-এর বিক্রম ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ডিং ১ ঘন্টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ড স্ট্রিম করেছে ইসরো।গোটা বিশ্ব থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই লাইভ স্ট্রিমটি দেখার পাশাপাশি অগণিত মানুষ টেলিভিশনে এই লাইভ স্ট্রিমটি দেখেছেন।শোনা যাচ্ছে অনান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও লাইভ স্ট্রিমিং-এ ইসরো নতুন রেকর্ড গড়ে দিয়েছে।ফের বিশ্বকাপের মত জনপ্রিয় খেলা ছাড়া অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোনো YouTube লাইভ স্ট্রিমের লাইভ ভিউতে ISRO-র স্ট্রিমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা লাইভ স্ট্রিম (মিলিয়ন ভিউয়ার)
১. ISRO - চন্দ্রযান ৩ এর সফট ল্যান্ডিং – ৮.০৬ মিলিয়ন
২. CazéTV – বিশ্বকাপ’২২ কো.ফা.(ব্রাজিল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া) – ৬.১৫ মিলিয়ন
৩. CazéTV – বিশ্বকাপ’২২ রাউন্ড অফ১৬ (ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া)- ৫.২ মিলিয়ন
৪. CazéTV - ভাস্কো বনাম ফ্ল্যামেঙ্গো – ৪.৭ মিলিয়ন লাইভ ব্যবহারকারী
৫. SpaceX - ক্রু ডেমো - 4 মিলিয়ন
৬. BTS - বিটিএস বাটার: ৩.৭৫ মিলিয়ন
৭. অ্যাপল – ৩.৬৯ মিলিয়ন
৮. ল অ্যান্ড ক্রাইম নেটওয়ার্ক - জনি ডেপ বনাম অ্যাম্বার হার্ড – ৩.৫৫ মিলিয়ন
৯. ফ্লুমিনেন্স বনাম ফ্ল্যামেঙ্গো -৩.৫৩ মিলিয়ন
১০. ক্যারিওকা চ্যাম্প। ফাইনাল – ৩.২৫ মিলিয়ন
তথ্যঃ Global Index @TheGlobal_Index/twitter(x) and www.bsehexam.org
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ