একনজরে

10/recent/ticker-posts

Nancy Grace Roman Space Telescope সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ, জেমস ওয়েবের পর মহাকাশে আরও আধুনিক টেলিস্কোপ পাঠাবে নাসা।


মহাবিশ্বের যা ব্যাপ্তি তাতে কোনও না কোনও খানে পৃথিবীর মত প্রাণের হদিস থাকতেই পারে

খোশখবর ডেস্কঃ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নানা তাক লাগানো সাফল্যের মধ্যেই এবার আরও উন্নত টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠাতে চলেছে মার্কিন দেশের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা। জেমস ওয়েবের পরবর্তী প্রজন্মের এই টেলিস্কোপের নাম ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ।

সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষকে ভাবিয়েছে মহাকাশ।ভাবিয়েছে আকাশ ভরা সূর্য তারা – বিশ্ব ভরা প্রাণের ভাবনা। যত সময় গেছে সৌরজগত, গ্রহ, নক্ষত্র তারাদের খোঁজ পেতে পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে বসানো হয়েছে নানা আকারের ও নানা ধরনের টেলিস্কোপ।কিন্তু তাতেও প্রয়োজন মেটে নি।সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ পেতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যা ভাবা হয়েছিল মহাবিশ্ব তার চেয়েও আরো অনেক বড়।আসলে মহাবিশ্ব – অসীম, এর শেষ কোথায় বা ঠিক কোথা থেকে এর উৎপত্তি হয়েছিল তা এখনও অজানা।তবে হাল ছাড়তে রাজি নন জোর্তিবিজ্ঞানীরা।

আমাদের সৌরজগতের বাইরের এক্সোপ্ল্যানেট বা পৃথিবীর বাইরে অজানা অচেনা নক্ষত্র জগতের খোঁজ পেতে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল স্পেস শাটল ডিসকভারির মাথায় চড়িয়ে মহাকাশে পাঠানো হয় হাবল স্পেস টেলিস্কোপকে।প্রতি ৯৭ মিনিটে একবার পৃথিবীর চারপাশ ঘুরে অসংখ্য অজানা অচেনা তথ্য দিয়ে বিজ্ঞানীদের এক আশ্চর্য দুনিয়ার খোঁজ দেয় এই স্পেস টেলিস্কোপ।

তবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ পেতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপে কাজ মেটেনি বিজ্ঞানীদের। তাই ২০২১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর আরও উন্নত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠায় মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা,কানাডীয় মহাকাশ সংস্থা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা। ইতিমধ্যেই মহাবিশ্বের নানা অজানা তথ্য সহ মানবসভ্যতার পর্যবেক্ষণের ইতিহাসে সবচেয়ে দূরতম চারটি ছায়াপথের ও বহু নতুন তারার সন্ধান দিয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।

তবে তাতেও মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা থেকে গেছে বিজ্ঞানীদের কাছে।তাঁরা বলছেন মহাবিশ্বের যা ব্যাপ্তি তাতে কোনও না কোনও খানে পৃথিবীর মত প্রাণের হদিস থাকতেই পারে। তাই এবার মহাকাশে আরও উন্নত পরবর্তী প্রজন্মের ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপকে পাঠাতে চলেছে নাসা।হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মূল মাথা হিসেবে কাজ করা ন্যান্সি গ্রেস রোমানের নাম অনুসারেই এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। আরও আধুনিক রোমান স্পেস টেলিস্কোপ হবে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের আকারের প্রায় সমান। এর ৭ দশমিক ৯ ফুটের (7.9-ফুটের) প্রাইমারি মিরর তার দৃশ্যের ক্ষেত্র ১০০ গুণ প্রশস্ত করে আকাশের ছবি তুলবে।সময়ের সঙ্গে মহাবিশ্ব জুড়ে গ্যালাক্সিগুলোর ছড়িয়ে পড়া কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে ডার্ক ম্যাটারের সংযোগ বুঝতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।হিসেব মত সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২৭ সালে এই আধুনিক ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠাবে নাসা।খোঁজ চলবে বিশ্ব রহস্যের।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ