একনজরে

10/recent/ticker-posts

Leaning Tower হেলে যাচ্ছে ইতালির গ্যারিসেন্ডা মিনার, কী খবর পিসার মিনারের?

পিসার টাওয়ারের মতোই আরও হেলানো মিনার রয়েছে ইতালিতে 

খোশখবর ডেস্কঃ আরও হেলে পড়ছে হেলানো মিনার, ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বিবিসি নিউজ তার রিপোর্টে জানিয়েছে যে ৪৮ মিটার বা ১৫৪ ফুট উচু টাওয়ারটি চার-ডিগ্রি কোণে হেলে পড়েছে। স্থানীয় সিটি কাউন্সিল বলেছে যে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত সংকটজনক’।

ইউটিউবে দেখুন হেলানো মিনারের গল্প


ইতালি থেকে আসা এই খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে ব্যাপারটা হল অনেকেই ভাবছেন এই টাওয়ারটা বুঝি ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়া পিসার সেই বিখ্যাত হেলানো মিনার। বলা হয়ে থাকে, বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই তার বিখ্যাত সূত্র প্রমাণের জন্য পরীক্ষা এই টাওয়ার থেকেই করেছিলেন। হেলে থাকার পাশাপাশি সেজন্যই আরও বিখ্যাত হয়ে উঠেছে পিসার সেই মিনার। পিসার মিনার হেলে থাকলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় তা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।


কিন্তু আসল তথ্য হল নতুন করে হেলে পড়ার খবর হওয়া মিনারটি পিসার সেই হেলানো মিনার নয়। পিসার টাওয়ারের মতোই আরও হেলানো টাওয়ার রয়েছে সেদেশে। তারই অন্যতম ইতালির শহর বোলোগনার মধ্যযুগীয় ১২ শতকের গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার। গ্যারিসেন্ডা টাওয়ার হল একসঙ্গে পাশাপাশি থাকা দুটি টাওয়ারের মধ্যে একটি।অন্যটি হল অ্যাসিনেলি টাওয়ার যার উচ্চতা প্রায় দ্বিগুণ উচ্চতা এবং সেটিও একটু ঝুঁকে আছে। এই দুই কাঠামো ১১০৯ এবং ১১১৯ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল, যদিও ১৪শ শতাব্দীতে গ্যারিসেন্ডার উচ্চতা কমানো হয়েছিল কারণ সেটি তখনই ঝুঁকতে শুরু করেছিল।দান্তের ‘দ্য ডিভাইন কমেডি’তে এই টাওয়ারটির উল্লেখ রয়েছে।





চতুর্দশ শতক থেকেই সেটি ৪ ডিগ্রি হেলে রয়েছে।যেখানে পিসার হেলানো টাওয়ার ঝুঁকে রয়েছে ৫ ডিগ্রি। আগেই বিপদের আন্দাজ করে শহর কর্তৃপক্ষ গ্যারিসেন্ডা টাওয়ারের চারপাশে ৫মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট উঁচু পাঁচিল তুলে রেখেছে।
বোলোগনা অঞ্চলের প্রায় ১ হাজার বছরের এই টাওয়ার যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের। টাওয়ারে লাগানো সেন্সর এমনই তথ্য দিয়েছে।তাই টাওয়ারটিকে সংরক্ষণের জন্য তার চারপাশে ধাতব কর্ডনের সুরক্ষা পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করে ফেলা হয়েছে। কোনও পর্যটককেই টাওয়ারটির কাছাকাছি যেতে দেওয়া হচ্ছে না, যাতে হেলানো মিনার ভেঙে পড়লেও আশপাশের মানুষজনের যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয়।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ