খোশখবর ডেস্কঃ আমাদের এই মহাবিশ্ব রহস্যে মোড়া।অসীম এই ইউনিভার্স, তার সৃষ্টি রহস্য ও ব্যাপ্তির প্রায় কিছুই মানুষের আজও জানা হয় নি বলে অভিমত জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানীদের। মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্ব ও গঠন রহস্যের খোঁজে থাকা একদল বিজ্ঞানীর সামনেই হাজির বিস্ময়কর গতির এক নতুন রহস্যময় বস্তু – যা দেখে অবাক নাসার বিজ্ঞানীরা। অবাক করা গতিতে ছুটে চলা ওই মহাজাগতিক বস্তুটি যে আসলে কী হতে পারে তারও সঠিক ব্যখ্যা দিতে পারেন নি তাঁরা।
বিগ ব্যাং, গালাক্সি, মিল্কিওয়ে এসবের গঠন রহস্য বুঝতে প্রতিনিয়ত আকাশের দিকে নানা আকারের বিশাল বিশাল আকার ও প্রকারের টেলিস্কোপ ফিট করে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা।চলেছে নানা অঙ্ক কষাও।এইরকমই মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্বে নিমগ্ন থাকা NASA এর ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস: প্ল্যানেট ৯ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা খোঁজ পেয়েছেন এক রহস্যময় বস্তুর।জানা যাচ্ছে এই বস্তুর গতি প্রতি ঘন্টায় ১ মিলিয়ন মাইল।
প্রখ্যাত মানুষ,বিখ্যাত উক্তি/পড়ুন WHO QUOTES WHAT
তাহলে কি বিশ্বমাঝে বুদ্ধিমাণ প্রাণের খোঁজ পেয়ে গেল মানুষ? প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলা ওই বস্তু কী আসলে কোনও মহাকাশযান – যা অনায়াসে এই গ্যালাক্সির পেটের ভেতর থাকা গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাতায়াত করতে পারে? না কি এটি কোনও ধূমকেতু বা ছুটে চলা গ্রহানু?
তাহলে কি বিশ্বমাঝে বুদ্ধিমাণ প্রাণের খোঁজ পেয়ে গেল মানুষ? প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলা ওই বস্তু কী আসলে কোনও মহাকাশযান – যা অনায়াসে এই গ্যালাক্সির পেটের ভেতর থাকা গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে যাতায়াত করতে পারে? না কি এটি কোনও ধূমকেতু বা ছুটে চলা গ্রহানু?
যদিও এই সব জল্পনা-কল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।কারণ কল্পনাতীত গতিতে ছুটে চলা এই বস্তু পৃথিবীর চেয়ে ২৭ হাজার গুণ বড়। যা পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষেরও বেশি দূর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে।এর যা গতি তাতে তা যেন খুব শীঘ্রই আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ছেড়ে বেড়িয়ে চলে যাবে। মহাবিশ্বের পেটের ভেতর দিয়ে এত জোরে ছুটে চলা জিনিসটা কী? নাসার ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস প্রকল্পে বিজ্ঞানীরা ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে থাকেন। তারা এই রহস্যবস্তুর নামকরণ করেছেন ‘CWISE J1249’।
রহস্য থাকলেও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এটা একটি কম ভরের বাদামী বামন নক্ষত্র, যা হতে পারে বাইনারি স্টার সিস্টেমের অংশ।দুই তারার হোয়াইট ডোয়ার্ফ স্টার সুপারনোভা হয়ে বিস্ফোরণের পরে বাদামি বামন নক্ষত্র এরকম মুক্তভাবে ছুটতে পারে।অন্য ব্যখ্যা হল বস্তুটি কোনও গ্লোবিউলার ক্লাস্টার থেকে বেরিয়ে ব্ল্যাকহোলের বিপুল টানে ছুটে চলেছে।
আসলে রহস্যে মোড়া এই মহাবিশ্বে মানুষ বড় একা।এতবড় ইউনিভার্সের বুকে সে খুঁজে চলেছে তার মত বা তার চেয়েও বুদ্ধিমান কোনও জীব।তাই প্রতিনিয়ত হাজারো আশ্চর্য রহস্যময় ঘটনার প্রথমেই চলে আসে গ্রহান্তরের জীবেদের কথা।যার ব্যতিক্রম হয় নি এবারেও।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ