খোশখবর ডেস্কঃ বিজ্ঞানের দুনিয়ায় যেন নতুন কিছু উদ্ভাবনের যেন শেষ নেই।এবার বিজ্ঞানীরা আনতে চলেছেন এমন এক ক্যামেরা যা যা মানবদেহের ভেতরটা দেখে ফেলতে সক্ষম।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এমন এক নতুন স্ফটিক-ভিত্তিক ডিটেক্টর তৈরি করেছেন যাতে গামা রশ্মিকে অতি স্বচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা যাবে।তবে এটা বাজারে চালু থাকা ক্যামেরার মত কাজ করবে এমনটা ভাবলে ভুল হবে। আসলে এই প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতে ডাক্তারদের দ্রুত, নিরাপদ ও তুলনামূলকভাবে কম খরচে চিকিৎসা স্ক্যান করতে সাহায্য করবে।এই তথ্য দিয়েছে সাইটেক ডেইলি ডট কম।
বলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে ব্যবহৃত বর্তমান স্ক্যানারগুলো খুবই খরচ সাপেক্ষ এবং তৈরিতে জটিল। নতুন উদ্ভাবিত পেরোভস্কাইট (Perovskite) ডিটেক্টরটি প্রথমবারের মতো আলাদা গামা রশ্মি সুনির্দিষ্টভাবে ধরতে সক্ষম হয়েছে, যা সিঙ্গেল-ফোটন এমিশন কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (Single-Photon Emission Computed Tomography) ইমেজিংকে আরও নিখুঁত, দ্রুত ও কম খরচের করে তুলতে পারে।এই গবেষণাটি সম্প্রতি জার্নাল Nature Communications-এ প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে SPECT স্ক্যানের জন্য ব্যবহৃত ডিটেক্টর সাধারণত ক্যাডমিয়াম জিঙ্ক টেলুরাইড (CZT) অথবা সোডিয়াম আয়োডাইড (NaI) দিয়ে তৈরি। NaI ডিটেক্টর তুলনামূলকভাবে সস্তা হলেও আকারে বড় এবং ছবির স্বচ্ছতা কম, কুয়াশাচ্ছন্ন এলাকার ওপারে কিছু দেখার মত। পাশাপাশি CZT ডিটেক্টর অত্যন্ত ব্যয়বহুল, একটি ক্যামেরার দাম কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধান করতেই গবেষকরা পেরোভস্কাইট স্ফটিকের দিকে ঝুঁকেছেন। ২০১২ সালে প্রথম পেরোভস্কাইট-ভিত্তিক সৌর কোষ তৈরি হয় এবং ২০১৩ সালে একক পেরোভস্কাইট স্ফটিক দিয়ে এক্স-রে ও গামা রে শনাক্তকরণের ক্ষমতার প্রমাণ মেলে। সেই আবিষ্কার থেকেই বিকিরণ শনাক্তকরণে নতুন গবেষণার সূচনা হয়েছে।
গবেষণায় দলটি পেরোভস্কাইট স্ফটিককে নিখুঁতভাবে বড় করে ও একটা আকৃতি দিয়ে একটি পিক্সেলযুক্ত সেন্সর তৈরি করে। অনেকটা যেমন স্মার্টফোন ক্যামেরার পিক্সেল থাকে। এর ফলে গামা রশ্মির সুনির্দিষ্ট ও সুন্দর ছবি পাওয়া যায়। চিনের সুঝৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইহুই হের মতে এই প্রযুক্তি শুধু কর্মক্ষমতাই বাড়াবে না, খরচও অনেক কমিয়ে দেবে। ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি হাসপাতাল এই উন্নত ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে।
নর্থওয়েস্টার্নের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Actinia Inc.ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক উদ্ভাবনের পথে হাঁটছে। ফলে এটি শিগগিরই হাসপাতাল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
নর্থওয়েস্টার্নের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Actinia Inc.ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক উদ্ভাবনের পথে হাঁটছে। ফলে এটি শিগগিরই হাসপাতাল ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ