খোশখবর ডেস্কঃ ভোট এলেই ভারতে চর্চা শুরু হয়ে যায় এক্সিট পোল আর ওপিনিয়ন পোলের। নির্বাচন মানেই এক লড়াইয়ের ময়দান। সেই লড়াইয়ে জনতার রায়ে কারা জিতবে আর কারা হারবে তা জানার প্রবল কৌতূহল থাকে ভোটারদের মধ্যে।সেই ভোটে কারা জয় পাবে সে তথ্য আগাম বলে দিতেই করা হয় এক্সিট আর ওপিনিয়ন পোল।
ভারতে প্রথম এক্সিট পোল ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ওপিনিয়ন পরিচালনা করে। বর্তমানে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ধারা ১২৬এ অনুযায়ী ভোট শুরু হওয়ার সময় থেকে ভোট শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত এক্সিট পোল পরিচালনা ও প্রকাশ নিষিদ্ধ।
কাকে বলে এক্সিট পোল?
এক্সিট পোল হল ভোটগ্রহণ শেষে ভোটকেন্দ্র ছাড়ার সময় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তারা কাকে ভোট দিয়েছেন তা জেনে নেওয়া। এতে ভোট দাতারা কোন দল বা কোন ভোট প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে বা কোন বিষয়গুলো তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে তা জানার চেষ্টা করা হয়। সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলাফলের আগাম ইঙ্গিত দেওয়াই থাকে এর উদ্দেশ্য।এলোমেলোভাবে (random) বা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচিত ভোটারদের গোপনীয়তা বজায় রেখে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
এক্সিট পোল করার সময় প্রশিক্ষিত সমীক্ষাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য সংগ্রহ করেন।এই সময় লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, অঞ্চলসহ বিভিন্ন ভোটারের প্রতিনিধিত্বমূলক তথ্যও নিশ্চিত করা হয়। তবে প্রতিটি ভোটারের উত্তর সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়।
ওপিনিয়ন পোল কী?
ওপিনিয়ন পোলকে বাংলায় বলা হয় জনমত সমীক্ষা যা ভোটের আগেই করা হয়। এতে ভোটাররা কাকে ভোট দিতে পারে, কোন দল বা প্রার্থী বা কোন ইস্যু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে তা জানা যায়। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ অথবা ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে এই মতামত সংগ্রহ করা হয়। এলোমেলো বা র্যানডম বা নির্দিষ্ট প্রশ্নমালা ব্যবহার করে ওপিনিয়ন পোল সমীক্ষা করা হয়।
এক্সিট পোল কী সত্যিই মেলে? এটা কী বিজ্ঞান?
ভারতে যেমন নানা পর্বের ভোটের শেষ নেই তেমনই এক্সিট পোল ও ওপিনিয়ন পোলেরও শেষ নেই। দেখা যায় কোনো ভোটের ফলাফল মেলে আবার কোনো ভোটের ফল মেলে না। সেজন্যে এই ধরনের পোল নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। তবে যারা এই পোল পক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তারা মনে করেন নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি (Sampling Methods) সঠিক হলে ফলাফল বেশি নির্ভরযোগ্য হয়। বড় আকারে তথ্য সংগ্রহ এবং পক্ষপাতহীন প্রশ্নপত্র একটি ভালো সমীক্ষার প্রধান শর্ত। পোল পরিচালনাকারী সংস্থা পক্ষপাতদুষ্ট হলে এক্সিট পোলও বিতর্কিত হয়ে ওঠে। এক্সিট বা ওপিনিয়ন পোল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলে তথ্য বিকৃতির সম্ভাবনাও থাকে।

.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ