খোশখবর ডেস্কঃ ২০২৫ সালের বিদায় ঘণ্টা বাজতে আর খুব বেশি দেরি নেই। আর এই বছর শেষেই হতে চলেছে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা উপভোগ করার মত অপূর্ব মহাজগতিক ঘটনা। ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতের আকাশ উজ্জ্বল করবে ২০২৫ সালের শেষ সুপারমুন যা ‘কোল্ড মুন’ নামে পরিচিত।
[এমনিতেই পূর্নিমার চাঁদে মোহিত হয় না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তার উপরে ‘সুপারমুন’ নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেকটাই। কিন্তু কী এই সুপারমুন? কীভাবে এবং কেন দেখা যায় এই মুনের? এই নিয়ে নানা কথা জানতেই আমরা ‘খোশখবর’ – এর পক্ষ থেকে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম কলকাতার পজিশনাল অ্যাস্টোনমি সেন্টারের প্রাক্তন অধিকর্তা সঞ্জীব সেন মহাশয়ের সঙ্গে। আসুন জেনে নিই এই বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য। দেখে নিন এই ভিডিও] সুপারমুন, নানা অজানা তথ্য
কাকে বলে সুপারমুন? একটি সুপারমুন তখনই দেখতে পাওয়া যায় যখন একটি পূর্ণ চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে আসে যাকে বলে পেরিজি। ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের তুলনায় আকারে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। বলা হয় এই সময় আকাশে চাঁদকে ১৪% বড় এবং ৩০% বেশি উজ্জ্বল দেখায়। চাঁদের কক্ষপথ একে একে পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় সুপারমুন বছরে কয়েকবার ঘটে। তবে সুপারমুন দিগন্তের কাছাকাছি থাকলে প্রতিসরণের কারণে তা আরও বড় করে দেখা যায়। ১৯৭৯ সালে জ্যোতিবিজ্ঞানী রিচার্ড নোলে ‘সুপারমুন’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
রিচার্ড নোলে জনপ্রিয় করে তুললেও নাসার তথ্যে ‘সুপারমুন’ আনুষ্ঠানিক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক শব্দ নয়। তবে সাধারণত সেই পূর্ণিমাগুলোকেই সুপারমুন বলা হয় যেগুলো পেরিজির কমপক্ষে ৯০ শতাংশ দূরত্বের মধ্যে আসে। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানে এই দৃশ্যমান উজ্জ্বল পূর্ণিমাকে বর্ণনা করার জন্য ‘সুপারমুন’ কথাটাই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বছরের শেষ পূর্ণিমা ‘কোল্ড মুন’ নামেই পরিচিত। কখনও কখনও একে ‘ লং নাইট মুন’ ও বলা হয়। অক্টোবরের ‘হার্ভেস্ট মুন’ এবং নভেম্বরের ‘ বেভার মুন’ -এর পরের পূর্ণিমাতেই হয় ‘কোল্ড মুন’ ।
শীতের আকাশে সুপারমুন দেখার সেরা সময় শুরু হবে সন্ধ্যের পর থেকেই। বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতি দরকার নেই। তবে দূরবীন বা টেলিস্কোপ থাকলে চাঁদের সূক্ষ্ম বৈশিষ্ঠ্য আরও স্পষ্ট দেখা যাবে। শহরের আলো থেকে দূরে সঙ্গে গরম গরমের জামা কাপড় আর হালকা খাবার বা গরম পানীয় নিয়ে ডুবে যেতেই পারেন সুপারমুনের সৌন্দর্য্যে।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ