একনজরে

10/recent/ticker-posts

Globally life expectancy increased বিশ্বজুড়ে বাড়ছে গড় আয়ু, সবচেয়ে বেশি বছর বাঁচে কোন দেশের মানুষ?


খোশখবর ডেস্কঃ স্বাস্থ্য পরিসেবা, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং জীবনধারার মানের উন্নতির ফলে পৃথিবীজুড়ে গড় আয়ু ক্রমেই বাড়ছে মানুষের। এমন তথ্যই দিয়েছে স্ট্যাটিস্টা ডট কম। বলা হচ্ছে ১৯৬০-এর দশক থেকেই বিশ্বজুড়ে গড় আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য বলছে ১৯৬০ সালে যেখানে গোতা বিশ্বে গড় আয়ু ছিল প্রায় ৫১ বছর, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩.৩ বছরে। অর্থাৎ মাত্র ছয় দশকে পৃথিবীজুড়ে গড় আয়ু বেড়েছে ২০ বছরেরও বেশি। করোনা মহামারির সময় সাময়িকভাবে এই বৃদ্ধির হার থমকে গেলেও, পরে ফের ২০২৩ সালে আবারও আগের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায় ফিরে গেছে বিশ্ব।

তবে পৃথিবীর সর্বত্রই যে মানুষের আয়ু বেড়েছে এমনটা ভাবা ভুল হবে। এক্ষেত্রে শীর্ষে আছে জাপান। ১৯৬০ সালে জাপানের নাগরিকদের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৬৮ বছর। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮৪ বছর। অর্থাৎ একজন জাপানি গড়ে ৮৪ বছর বাঁচেন। হিসেবে দেখা গেছে গিনেস বুকে বেশি বছর বাঁচা মানুষের রেকর্ডের তালিকায় জাপানের প্রধান্যই বেশি। যদিও সর্বোচ্চ গড় আয়ুর হিসেবে হংকং ও মোনাকো জাপানের থেকেও কিছুটা এগিয়ে।

রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ইতালির মানুষের গড় বাঁচার বয়স ৮৩.৭ বছর। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশেও মানুষ আয়ু ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে ওই সব দেশের সর্বজনীন ও শক্তিশালী স্বাস্থ্যব্যবস্থা, উন্নত চিকিতসা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিন। ১৯৬০ সালে যেখানে চিনের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৩৩ বছর তা ২০২৩ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৮ বছর।


ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৬০ সালে ভারতের নাগরিকদের গড় বাঁচার বয়স ছিল ৪৬ এবং ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৭২। তবে এক্ষেত্রে একসময় এগিয়ে থাকলেও অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকায় ১৯৬০ সালে মানুষের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৭০ বছর, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িয়েছে ৭৮.৪ বছরে। অন্যান্য উচ্চ-আয়ের দেশের তুলনায় এই বৃদ্ধি যথেষ্ট ধীর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেশি বছর বেঁচে থাকার সাফল্যের পেছনে অর্থনৈতিক উন্নতি, ব্যাপক স্বাস্থ্য পরিসেবা এবং শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়াকে দায়ি করা হচ্ছে। গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছেই এমন সব সুবিধে হাজির হলে আগামী দিনে ১০০বছর বাঁচাটা মোটেই কঠিন হবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


তথ্যঃ স্ট্যাটিস্টা ডট কম

পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code