খোশখবর ডেস্কঃ কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, এবার পৃথিবী ছেড়ে চাঁদে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পথে হাঁটছে রাশিয়া। আগামী এক দশকের মধ্যেই আমাদের একমাত্র উপগ্রহে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মস্কো। তাদের অনলাইন সাইটে এই তথ্য দিয়েছে কাস্পিয়ান পোস্ট। বলা হয়েছে চাঁদ নিয়ে চিনের সঙ্গে যৌথ দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি ও গবেষণা পরিকল্পনার এটি একটি অংশ।
কিন্তু নিজেদের বিশাল বিপুল দেশের জমি ছেড়ে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরের চাঁদে গিয়ে এমন পরিকল্পনা কেন, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। বলা হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে মার্কিন দুনিয়ার সঙ্গে অঘোষিত এক লড়াই।
খবরটি দেখে নিন আমাদের ইউটিউবেও
১৯৬১ সালে ইউরি গ্যাগারিন বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার পর গোটা বিশ্বের নজর কাড়া সোভিয়েত ইদানিং কিছুটা পিছিয়েই পড়েছে। ২০২৩ সালে চাঁদে অবতরণের সময় তাদের মানববিহীন লুনা–২৫ ভেঙে পড়ায় বড় ধাক্কা খায় রাশিয়া।
তুলনায় নাসার নানা পরিকল্পনা ও ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠিত স্পেসএক্সের উত্থানে মহাকাশ অভিযানে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে এমনসব অভিযানে ভারতের পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে আজকের চিনও। এমন পরিস্থিতিতেই নিজেদের হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেতে ফের আসরে নেমেছে রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস।
গুগলে আরও 'খোশখবর'
আসলে রাশিয়ার এমন পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে পৃথিবী ছেড়ে মহাকাশের গ্রহ, উপগ্রহে ভবিষ্যতে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা। চাঁদে বসতি স্থাপনের সবচেয়ে বড় বাধা হলো শক্তি উৎপাদন।
সেটি সমাধান করতে পারলে—দীর্ঘকালীন বসবাস, বৈজ্ঞানিক গবেষণা সবকিছুই হয়ে উঠবে সহজ। চাঁদে জীবনধারণের জন্য নির্ভরযোগ্য শক্তির উৎসই হতে চলেছে রাশিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। নাসার তথ্য অনুযায়ী, চাঁদে প্রায় ১০ লক্ষ টন হিলিয়াম–৩ থাকতে পারে—যা পৃথিবীতে অত্যন্ত দুর্লভ। পাশাপাশি তা ভবিষ্যতের ফিউশন শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু তাই নয়, চাঁদের পৃষ্ঠে রয়েছে স্ক্যান্ডিয়াম, ইট্রিয়াম ও ল্যান্থানাইডের মতো বিরল মৃত্তিকা উপাদান, যা আধুনিক উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চাঁদে স্থায়ী শক্তি ব্যবস্থা গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে মানব বসতির পথও খুলে যেতে পারে।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ