একনজরে

10/recent/ticker-posts

Nutritional Powerhouse Banana কলাকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউস, এখনই জেনে নিন এর বিপুল উপকারিতা।


অনেকেই সস্তায় পুষ্টিকর ফল  হিসেবে কলাকে প্রথমসারিতে রাখেন

খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে কলা অন্যতম।কলাতে স্টার্চ, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ যা আমাদের স্বাস্থ্যের নানা উপকার করে। এসবের পাশাপাশি কলা সারাবছর পাওয়া যায়,ফলে নিয়মিত খাওয়ার ক্ষেত্রে এই ফল সহজলভ্যও বটে।




অনেকেই সস্তায় পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কলাকে প্রথমসারিতে রাখেন। কলায় থাকা মিনারেল, ভিটামিন আর ফাইবার শরীরের জন্য খুব উপকারী। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন একটা করে কলা খেতে বলেন।


কী কী আছে কলায়?

ভিটামিনঃ  উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে কলায়। ভিটামিন এ স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখ ভাল রাখতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে ভিটামিন এ। কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ থাকে একটি মাঝারি আকারের কলা এই ভিটামিনের দৈনিক চাহিদার ৩৩% পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারেঅন্যদিকে বেশিরভাগ ফলের মতো  কলাও ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস

পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামঃ কলা পটাসিয়ামের একটি ভাল উৎস এবং এটি স্বাস্থ্যকর দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পটাসিয়াম শরীরে্র রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে।

আয়রনঃ কলার মধ্যে থাকা আয়রন শরীরের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।



অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পেকটিনঃ কলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানুষকে সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না।পাশাপাশি কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে। পেট পরিস্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার যা তাড়াতাড়ি হজমে সাহায্য করে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে কলার মধ্যে এক ধরণের প্রোটিন রয়েছে যার নাম ব্যানানা লেকটিন (বা ব্যানলেক)।এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং তাকে কোষে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।


ফল হিসেবে কলা ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ। কাজেই আপনার এবং বাড়ির ছোটদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই একটি করে কলা রাখুন।অবশ্যই উপকার পাবেন।



[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ