একনজরে

10/recent/ticker-posts

hottest place on Earth ৪০ ডিগ্রিতেই নাভিশ্বাস,জেনে নিন পৃথিবীর সবচেয়ে গরম জায়গার তাপমাত্রা কত?


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিই হল আমাদের এই গ্রহের সবচেয়ে গরমের জায়গা।

খোশখবর ডেস্কঃ বাঁকুড়া থেকে বীরভূম, হাওড়া থেকে হুগলি তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। গরমে পুড়ছে রাজগীর থেকে রাজস্থান, তবে শুধু আমাদের রাজ্য বা দেশ নয় বছরের বিভিন্ন সময়ে গরমে হাঁসফাঁস করে বিভিন্ন দেশের মানুষ। বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সায়েন্স’-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিই হল আমাদের এই গ্রহের সবচেয়ে গরমের জায়গা। এখানকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ। রেকর্ড বুকের তথ্য জানাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া মরুভূমির এই অংশের ফার্নেস ক্রিক অঞ্চলের তাপমাত্রা ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই, ১৩৪.১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। গড়ে, ডেথ ভ্যালিতে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা প্রায়ই ১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়।
অন্যদিকে যদি ভূমিভাগের উষ্ণতা ধরা যায় তাহলে ২০২১ সালে, ইরানের লুত মরুভূমি এবং মেক্সিকো-ইউএস বরাবর সোনারান মরুভূমি সীমানা অঞ্চল সবচেয়ে গরম। এই দুই জায়গারই তাপমাত্রা ১৭৭.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৮০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেশী মানুষজন থাকলে এবং বায়ু চলাচলের কারণে প্রভাবিত হয়। অন্যদিকে, ভূমির তাপমাত্রা সূর্য, বায়ুমণ্ডল এবং অন্যান্য তাপ প্রবাহ থেকে বিকিরণ দ্বারা নির্ধারিত হয়।ফলে ভূভাগের তাপমাত্রা বাতাসের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি গরম হতে পারে।


পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম, রেকর্ড কী বলে?

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ডেথ ভ্যালির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা এখনও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা। সরকারীভাবে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা হল ১৩৪ 
ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস – যা ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই ডেথ ভ্যালির গ্রীনল্যান্ড র‍্যাঞ্চে পরিমাপ করা হয়েছিল।


এই মৃত্যু উপত্যকায় কত জন বাস করেন?

ডেথ ভ্যালি আলাস্কার বাইরে সবচেয়ে বড় মার্কিন জাতীয় উদ্যান এবং ৩.৪ মিলিয়ন একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।পার্কের ৯৩ শতাংশ ‘সরকারিভাবে মনোনীত ওয়াইল্ডারনেস হিসাবে সুরক্ষিত।’ ইউএসএ টুডের দেওয়া তথ্য বলছে নিউ ইয়র্ক টাইমস অনুসারে,পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থানে মাত্র ৫৭৬ জন মানুষ থাকেন। 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ