একনজরে

10/recent/ticker-posts

নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদের প্রতীক ছিলেন আম্বেদকর


খোশখবর ডেস্কঃ ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেডকরের জন্ম ১৪ই এপ্রিল ১৮৯১। তিনি একাধারে ছিলেন দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক,বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ ও ভারতের সংবিধানের রূপকার। তাঁকে বলা হয় বিংশ শতাব্দীর মহান সমাজ সংস্কারক, অবিসংবাদী নেতা এবং সর্বকালের সর্বদেশের সকল নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদের প্রতীক। ২০১২ সালে ভারতে আয়োজিত একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি 'শ্রেষ্ঠ ভারতীয়' হিসেবে নির্বাচিত হন। আম্বেদকর সারাটা জীবন সামাজিক বৈষম্যতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গেছেন। আম্বেদকরকে ১৯৯০ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী, ভারতীয় সংবিধানের মুখ্য স্থপতি।

তাঁর মৃত্যু হয় ৬ই ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে। সেন্ট্রাল মুম্বাইয়ের শিবাজী পার্ক সংলগ্ন স্থানে ডঃ আম্বেদকরকে সমাধিস্থ করা হয়। প্রতিবছর এইদিনে এখানে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ হাজারে হাজারে সমবেত হন। দলিতরা তাঁকে ভালোবেসে ‘বাবা সাহেব’ বলে ডাকেন।

২০১৫ সালে লোকসভায় ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১২৫-তম জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্কের শেষে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে বলেন “আমরা বাবাসাহেব আম্বেদকরের দূরদৃষ্টি সম্পর্কে ধারনা করতে পারি। কেউ যদি সরকারকে আক্রমণ করতে চায়, তা হলেও বাবাসাহেবের উদ্ধৃতি কাজে লাগে, আত্মপক্ষ সমর্থনের ক্ষেত্রেও তাঁর উদ্ধৃতি কাজে লাগে। কেউ নিরপেক্ষ বক্তব্য রাখতে চাইলে বাবাসাহেবের উদ্ধৃতি বেছে নিতে পারেন। এত দীর্ঘ সময় ধরে স্থান-কাল নির্বিশেষে যাঁর উদ্ধৃতি জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল ভারতীয় নাগরিকের স্বাধীনতা রক্ষা করে, তা হলেই বুঝুন, তিনি কত বড় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। আমার ধারনা আজ থেকে ১০০ বছর পরেও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক থাকবেন। তাঁকে আমার অসংখ্য প্রণাম”।