একনজরে

10/recent/ticker-posts

AI photography Winner ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র কামাল,ফটোগ্রাফিতে পুরস্কার জিতেও সত্যি প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান শিল্পীর


 ছবিটা ক্যামেরায় তোলাই হয়নি, ওটা এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা

খোশখবর ডেস্কঃ তাহলে কী ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র কাছে হেরে যাবে মানুষ? সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ – এর পুরস্কার ঘিরে যা ঘটল তা চমকে দিয়েছে অনেককে।সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডের সৃজনশীল মুক্ত বিভাগে সেরা শিরোপা পেয়েছেন বরিস এলড্যাগসন।তাঁর তোলা ওই ছবিতে ভিন্ন প্রজন্মের দুই নারীর একটি ভুতুড়ে কালো-সাদা প্রতিকৃতি উপস্থিত।একটি বিশেষ আবেদন থাকা ওই ছবিই আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতে নেয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ফটোগ্রাফি 


কিন্তু পুরস্কার নিতে নারাজ আলোকচিত্রী নিজেই।ব্যাপারটা কী? বরিস এলড্যাগসন জানিয়ে দেন আসলে ওই ছবিটা ক্যামেরায় তোলাই হয়নি, ওটা এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা। বিচারকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন প্রতিযোগিতার ব্যাপার স্যাপার পরীক্ষা করতে এবং ফটোগ্রাফির ভবিষ্যত কী হতে পারে সে সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করতেই ছবিটি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার মতে “এআই ইমেজ এবং ফটোগ্রাফির মধ্যে এই ধরনের পুরস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়। আসলে তারা ভিন্ন সত্তা।এআই ফটোগ্রাফি নয়।তাই আমি পুরস্কার গ্রহণ করব না।"

পুরস্কার পাওয়া শিল্পী বরিস এলড্যাগসন


পুরস্কারের আয়োজক সংস্থা অবশ্য এত সহজভাবে ব্যাপারটা নিচ্ছে না।তাঁরা বিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন যে এলডাগসেন তাদের বিভ্রান্ত করেছেন। আর প্রশ্নটা এখানেই।গান,প্রবন্ধ লেখা থেকে শুরু করে চালকবিহীন গাড়ি সবেতেই যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে মানুষের সৃষ্টির গুরুত্ব থাকবে তো?

সূত্রঃ বিবিসি নিউজ  

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ