একনজরে

10/recent/ticker-posts

Mango leaves & bark আম তো খাচ্ছেন - আম পাতা, আম গাছের ছালেরও কত উপকার জানেন?


নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ঘরোয়া উপায়েই শারীরিক নানা সমস্যায় উপকার এনে দেয় আম পাতা ও আম গাছের ছাল।

খোশখবর ডেস্কঃ এখন আমেরই সময়।বাজার হোক বা বাড়ি সর্বত্রই আমের ছড়াছড়ি।এই সময় সারা বছর পাওয়া যায় এমন কলা-আপেলের একটু কদর কমেই যায়। কথায় বলে ফলের রাজা আম। কারণ ফল হিসেবে আমের গুণ অনেক। তবে আমের গুণতো আছে, আম পাতা ও আম গাছের ছালের কী কী গুণ আছে জানেন? নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ঘরোয়া উপায়েই শারীরিক নানা সমস্যায় উপকার এনে দেয় আম পাতা ও আম গাছের ছাল।

নতুন আমপাতা লালচে বা বেগুনি বর্ণের হয় এবং পরে তা গাঢ় সবুজ বর্ণে পরিনত হয়। আম পাতায় ভিটামিন সি, বি এবং এ রয়েছে৷ রয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টিগুণ৷ পাতাগুলিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনল থাকে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আম গাছের কোমল পাতা রান্না করে খাওয়া হয়। ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করলে কচি পাতা ব্যবহার করা উচিত।


১। আমের পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী। আম গাছের কোমল পাতায় অ্যান্থোসায়ানিডিন নামক ট্যানিন থাকে যা প্রাথমিক ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সাহায্য করে।পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা পরিমাপ মত এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।সকালে সেই জল ছেঁকে পান করলে উপকার মেলে।



২। আগুনে পুড়ে গেলে আম পাতা বাটার প্রলেপ লাগালে তাতে ভাল উপকার পাওয়া যায়।

৩। আম গাছের ছাল বেটে তা থেকে ২ চা চামচ মত নিয়ে ৪৫০ গ্রাম জলে সেদ্ধ করুন।যখন জল শুকিয়ে প্রায় ১০০ গ্রাম মত হয়ে যাবে তখন তা পান করলে কৃমি সেরে যায়।

৪। আম পাতা কিডনিতে পাথর এবং পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসায় সাহায্য করে।

৫। আম পাতা সব ধরনের শ্বাসকষ্টের জন্য ভালো। এটি ঠান্ডা, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

৬। গা বমি বমি ভাব হলে কচি আম পাতায় ঘি ও চন্দন মাখিয়ে শুঁকলে ভাল ফল পাওয়া যায়, বমিভাব কমে।

৭। দু- চা চামচ আম গাছের ছাল বেটে নিয়ে তা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেটের অসুখ বা আমাশা সেরে যায়।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ