একনজরে

10/recent/ticker-posts

Famous Left Handers পৃথিবী জুড়ে বহু বিখ্যাতই লেফট হ্যান্ডার্স, বিশ্বে বাঁহাতি মানুষের সংখ্যা কত?


চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে যে মানুষ কোন হাত দিয়ে লিখবে তা নির্ধারণ করে মানুষের মস্তিষ্ক

খোশখবর ডেস্কঃ লিওনার্দো দা ভিঞ্চি থেকে মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে আজকের সচিন তেণ্ডুলকর – এদের সকলের সঙ্গে মিল কোথায় জানেন? এঁরা সকলেই নিজ গুনে পৃথিবী বিখ্যাত এবং বাঁহাতি। গোটা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত বাঁহাতির সংখ্যা কম নেই। যেমন এই তালিকায় লিখে রাখতে পারেন আলেকজান্ডার থেকে জুলিয়াস সিজার, সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে থেকে টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা বা গানের দুনিয়ার মাইকেল জ্যাকসন, পল ম্যাককার্টনি, রিকি মার্টিনের নাম। রোনাল্ড রেগন, জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন থেকে বারাক ওবামা – মার্কিন দেশের মোট আট প্রেসিডেন্টই ছিলেন লেফট হ্যান্ডার্স।




আমাদের দেশেও বিখ্যাত বাঁহাতি মানুষ কম নেই। এই তালিকায় রয়েছেন আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আছেন অমিতাভ বচ্চন রজনীকান্ত, সচিন তেণ্ডুলকর, মেরি কম, রতন টাটা, আশা ভোঁসলে, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়াসহ বহু গুনীজন।


বাঁহাতি কেন হয়?

পৃথিবীতে ঠিক বাঁহাতিদের সংখ্যাটা যে কত তার সঠিক কোনও হিসেব নেই। তবে বলা হয় যে পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ হল বাঁহাতি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বলা যায় যে মানুষ কোন হাত দিয়ে লিখবে তা নির্ধারণ করে মানুষের মস্তিষ্ক। তবে বাঁহাতি হওয়ার পিছনে মানুষের শরীরের এক ধরনের জিনকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। এই জিনের প্রভাবে যে কেউই বাঁ হাতি বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মাতে পারে। একটি গবেষণার ফলে বলা হয়েছে জন্মগ্রহণের সময় শতকরা ৭৫ ভাগ শিশুই নাকি বাঁহাতি হওয়ার বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরিবেশের প্রভাবে সে শিশু ডানহাতিতে পরিণত হয়। আর সত্যি বলতে কি বাঁহাতিদের নিয়ে রহস্য আরও বাড়িয়ে তুলেছেন বাঁহাতিদের বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠাটাই। বিজ্ঞানীদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে বক্তব্য প্রকাশের দিক থেকে ডানহাতিদের তুলনায় বাঁহাতিরা অনেক বেশী পারঙ্গম। তবে বাঁহাতিদের কী মস্তিষ্ক উন্নত? যদিও সে প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরাই থেকে গেছে।

আরও পড়ুনঃ বাঁহাতিদের বিশ্ব,সবচেয়ে বেশি বাঁহাতিদের বাস কোন দেশে?

বাঁহাতি কী অপয়া?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর কোনও বাস্তবতা নেই। আসলে নোংরা পরিস্কার করা বা অনান্য নিতান্ত অবহেলার কিছু কাজ সাধারণত বাঁহাত দিয়েই করা হয়। তাই অনেকে মনে করেন বাঁহাতের মত বাঁহাতিদেরও গুরুত্ব কম।তাই সামাজিক ভাবেই বাঁহাতিরা কিছুটা সকলের থেকে আলাদা হয়ে পড়েন। বাড়ির কেউ বাঁহাতি হলে তাঁকে ছোটবেলায় ডানহাতে লেখার বা অন্য কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাই সাধারণের মধ্যে কুসংস্কার দূর করতে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ফি বছর আন্তর্জাতিক বাঁহাতি দিবস পালন করা হয়।


আন্তর্জাতিক বাঁহাতি দিবস

 কাঁচি থেকে কম্পিউটার মাউস – বিশ্বের অধিকাংশ জিনিসই তৈরি ডানহাতিদের জন্য। সেই বৈষম্য নিয়ে সরব হওয়ার জন্যই বাঁহাতিদের সম্মানার্থে প্রতি বছর ১৩ আগস্ট পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক বাঁহাতি দিবস’। ১৯৭৬ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। বাঁহাতিদের কথা ভেবে কাজ করে এমন সংগঠন আছে ভারতেও। সারা বছর ধরে বাঁহাতিদের জন্য নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। ২০১৮ সালে বাঁহাতিদের জন্য এমন স্পেশাল দিনেই সচিন তেন্ডুলকর টুইটে লেখেন, “ আমি হয়তো 'লেফট হ্যান্ডেড। তবে আমি সব সময় রাইট।”


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ