একনজরে

10/recent/ticker-posts

HOW TO MANAGE TIME ব্যস্ততার মধ্যেও কাজের সময় বের করবেন কী ভাবে? মানুন এই ১০টি টিপস।


সময়ে নিজের কাজ শেষ করে উঠতে সঠিক পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ


খোশখবর ডেস্কঃ অনেকেই আমরা সময়ে নিজের কাজ শেষ করে উঠতে পারি না।হয়ত যে যে কাজগুলো করার দরকার ছিল বা করতে হবে বলে ভাবা ছিল তার অনেকটাই শেষ করা হয়ে উঠল না নির্ধারিত সময়ে।অথচ হয়ত সে সব কাজ করার জন্য রাখা ছিল গোটা দিনটাই।আসলে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রাথমিক উদ্দেশ্যবোধের অভাবের জন্যই এমনটা হয় বলে জানাচ্ছেন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞরা।তাঁদের মতে এক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা না করেন তা হলে দিনের শেষে দেখবেন আপনার আসল কাজটাই হয় নি,সময় চলে গেছে অন্য কাজে।এজন্য আপনাকে করে নিতে হবে সঠিক পরিকল্পনা।এখানে রইল সেরকমই ১০টি পরিকল্পনার কথা।

১. ব্লকে সময় ভেঙে নিয়ে কাজ করুন

আমরা কেউ অফিসে কাজ করি আবার কেউ করি নিজের ব্যবসা।আবার অনেকে করেন ঘরের কাজ।এর বাইরেও দোকান-বাজার,ব্যাঙ্কের কাজ, কেনাকাটি বা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাওয়াও থাকে।যে যাই করি না কেন তা গুছিয়ে সময়ের মধ্যে করে ফেলাটাই হল কাজের কাজ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাতে অনেকগুলো কাজ থাকলে তা কতগুলো ব্লকে বা ভাগে ভেঙে নিন।এতে আপনার সামনে স্পষ্ট টার্গেট থাকবে।আর কতগুলো কাজ আছে জানলে কাজের সুবিধেও হবে।


২. কাজগুলিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাজান

আপনার হাতে সময় কতটা এবং তা কি ভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে আপনি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজগুলিকে সাজাতে পারবেন।এবং সে কাজটা করে নিন আগেই।এর ফলে আপনি প্রতিটি কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন এবং অপ্রয়োজনীয় কাজগুলি বাদ দিতে পারবেন।অর্থাৎ কাজের কাজটা করতে হবে আগে।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে জীবনে সফল হবেন? মেনে চলুন মাত্র ১২টি নিয়ম

৩. কিভাবে ‘ না’ বলতে হয় তা শিখুন

অনেক সময় দেখবেন কাজের কোনও শেষ হচ্ছে না।তা সে অফিস হোক বাড়ি।অনেক সময় অনুরোধে বা উপরোধে আমাদের বাড়তি কাজ করে দিতে হয়,আর এর জেরে হারিয়ে যায় প্রয়োজনীয় আসল কাজটাই। আপনি যে কাজগুলিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করবেন বলে সাজিয়েছিলেন সেটাও ভণ্ডুল। এক্ষেত্রে ‘না’ বলাটা প্র্যাকটিস করতে হবে।আপনি ‘না’ বলতে না পারলে পণ্ড হবে আসল গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলোই।তবে কীভাবে ‘না’ বলবেন সেটা ঠিক করে নিতে হবে আপনাকেই।


৪. টিভি/ ওটিটি লাইন কেটে দিন

আপনি যদি অবসর জীবনযাপন না করেন এবং সারা দিনের অনেকটা সময় আপনার টিভি/ ওটিটি দেখতে চলে যায় তাহলে অবশ্যই সে সব বন্ধ করুন বা লাইনটাই কেটে দিন।এরপর দেখবেন পর্যাপ্ত সময় এসেছে আপনার হাতে।এই সময়টাকে কাজে লাগান।মনে রাখবেন টিভি বা ওটিটির নেশা যেন আপনার মূল্যবান কাজকে নষ্ট করে না দেয়।সময় কিন্তু আর ফিরে আসবে না।আর যথা সময়ে সঠিক কাজ না করলে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারীও হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ কী করে বুঝবেন আপনি ভাল আছেন? জানুন ১০টি লক্ষণ

৫. আগে থেকেই আপনার দিনের পরিকল্পনা করুন

কোনও কাজ করার আগে পরিকল্পনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার কোন কোন কাজ দরকারী আর কোনগুলি দরকারি নয় তা আগে থেকে ঠিক করুন।যে কাজগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোকে আপনার তালিকায় রাখুন এবং তাদের উপর আপনার সময় এবং শক্তি ব্যবহার করুন। অর্থাৎ কাজ করতে বসে না ভেবে আগে থেকে ভেবে কাজ করুন।


৬. সবচেয়ে কঠিন কাজটি প্রথমে করুন

হাতে অনেকগুলো কাজ থাকলে তার মধ্যে পার্থক্য থাকবেই।কোনো কাজ করতে কঠিন আবার কোনও কাজ অতটা নয়।দিনের শুরুতে বা কাজের শুরুতে আমাদের কাজ করার পুরো এনার্জি থাকে।সেই সময়েই করে নিন সবচেয়ে শক্ত বা জটিল কাজটা।আর জটিল কাজগুলো আগে হয়ে গেলে একটা চিন্তামুক্তি হয় – যা পরবর্তী কাজগুলোকে সহজ করে দেয়।

৭. শুধু ব্যস্ত থাকার জন্য ব্যস্ত হবেন না

অনেকেই আছেন কাজের থেকে কাজের অভিনয় বেশী করেন।অর্থাৎ তিনি লোককে দেখান যে তিনি অনেক কাজ করছেন।এটা যিনি করেন তিনি নিজেই ঠকে যান।কারণ দিনের শেষে তাঁর সেই কাজটাই হয় না অথবা তিনি ব্যস্ত থাকায় যে বা যাঁরা তাঁর হয়ে কাজটি করে দিয়েছেন তাতে ভাল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।কারণ নিজের কাজ নিজের চেয়ে ভাল করে কেউ বুঝবে না।তাই ব্যস্ত থাকার অভিনয় না করে নিজের কাজ নিজে করে নেওয়াই ভাল।


৮. এক সময়ে একটি কাজের উপর ফোকাস করুন

একসঙ্গে অনেক কাজ করা সমস্যার।এতে কোনও কাজই সঠিক ভাবে হয় না।ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক।তাই কাজের সময়ে একটি কাজের উপর ফোকাস করাই প্রয়োজন।এতে যে কাজটি করছেন তা নিবিড়ভাবে করা যায়।কাজটিও ভাল হয়।

৯. আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার সময় কমিয়ে দিন

আমাদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ক্রমশই বাড়ছে।এক মুহূর্ত মোবাইল ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আমরা থাকতে পারি না।টিভি/ ওটিটির মতই সোশ্যাল মিডিয়াও আমাদের মূল্যবান কাজের সময় অনেকটাই নষ্ট করে দেয়।ফলে যে কাজ আপনার করা দরকার বা যে কাজ আজ না করলে ভবিষ্যতে অন্য ভাল ফল আটকে যাবে তাতে প্রভাব ফেলতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া।তাই টিভি/ ওটিটির মতই কমিয়ে দিন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থাকার সময়।



১০. আপনার স্মার্টফোনে রিমাইন্ডার সেট করুন

অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভরতা কমাতে অনেকেই বলেন স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকতে।তবে আপনার কাজের প্রয়োজনে আপনি স্মার্টফোনের দ্বারস্থ হতেই পারেন।নানা অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজের সময়কে ম্যানেজ করতে পারেন। টাইম ট্র্যাকিং এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষনে এই ধরণের অ্যাপস আপনার কাজে সাহায্য করতে পারে।

উপরে উল্লিখিত পরামর্শগুলো ব্যবহার করে আপনি ব্যস্ততার মধ্যেও কাজের সময় সঠিকভাবে বের করে নিতে পারবেন।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ