একনজরে

10/recent/ticker-posts

Rakhi Business India বিশাল বাজার,হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য,কারা তৈরি করে সবচেয়ে বেশি রাখি?


২০২৩-এ ভারতে রাখির ব্যবসা ১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে

খোশখবর ডেস্কঃ রাখি পূর্ণিমা ও 'রাখি বন্ধন' উৎসব এখন অন্য চেহারা নিয়েছে।দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয় ছেড়ে এখন তা সামাজিক ও বানিজ্যিক আকার নিয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়াতেও 'রাখি বন্ধন' পালনের ক্রেজ প্রচুর।এখন গোটা দেশ জুড়ে এমনকী বিদেশেও রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। বছরের এই এক-দুদিন ঘিরেই জমে ওঠা রাখির বিক্রির বিশাল ব্যবসা।


বাণিজ্য সংস্থা কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স - এর অনুমান ২০২৩-এ ভারতে রাখির ব্যবসা ১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।২০২২ সালে এই ব্যবসার পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা৷ ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬০০০ কোটি টাকা৷


এবারে রাখির বাজার কাঁপাচ্ছে দেশপ্রেমের বার্তা দেওয়া তিরাঙ্গা রাখি, চন্দ্রযান রাখি, জি ২০ স্লোগানযুক্ত বাসুধৈব কুটুম্বকম রাখি,ভারত মাতা রাখি ইত্যাদি।এছাড়াও আছে নাগপুরে তৈরি খাদি রাখি, জয়পুরের সাঙ্গানারী কালা রাখি, পুনেতে তৈরি রাখি ইত্যাদি।তবে রাখি বাজারে দেশীয় পণ্য তুলে ধরতে চিনা প্রোডাক্ট বয়কট করার জন্য দেশব্যাপী প্রচারের ডাক দিয়েছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স।


অনলাইনেও বড় বাজার আছে রাখির।করোনার সময় ধাক্কা খেলেও ২০২২ সালে ভাল বাজার ছিল অনলাইন রাখির। Amazon, Myntra, এবং Meesho সব প্ল্যাটফর্মেই বিক্রি হয় রাখি। অনলাইনে রাখি বিক্রি ২০১৮ সালের ১.৫% থেকে ২০২২ সালে ৭%-এ বেড়েছে। Meesho জানিয়েছে যে মহামারী পরবর্তী রাখির চাহিদা ২.৫ গুণ বেড়েছে।ফার্নস এন পেটালস (FNP) জানাচ্ছে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টায়ারের শহরে রক্ষাবন্ধনের সময় তাদের ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।



ভারতের বৃহত্তম রাখি প্রস্তুতকারক সংস্থা হল কলকাতার ‘শ্রী রাখি’।৬৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখি বন্ধনকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করে চলেছে এই সংস্থা। বাড়িতে রাখি তৈরি করে পারিবারিক খরচ মেটাতে কলকাতায় ১৯৬২ সালে শুরু হয় শ্রী রাখির ব্যবসা।এটি ভারত জুড়ে ৭০০ টিরও বেশি জায়গায় কাজ করে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন,অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে রপ্তানি করে এই সংস্থা।অনন্য ডিজাইন, গুণমান এবং নায্য মূল্যের কারণে বছরে প্রায় ২.৫ কোটি রাখি বিক্রি হয় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

তথ্যঃ yourstory.com/ businessworld.in/ economictimes.indiatimes.com


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ