একনজরে

10/recent/ticker-posts

What is Halloween Festival হ্যালোউইন কি সাহেবদের ভূত-চতুর্দশী? ব্যাপারটা আসলে কী?


অল হ্যালোস ইভ, অল হ্যালোস ইভনিং, অল হ্যালোউইন, অল সেন্টস ইভ নামেও এই উৎসব পরিচিত

খোশখবর ডেস্কঃ ফি বছর ৩১অক্টোবর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘হ্যালোউইন উৎসব’।কিন্তু এই হ্যালোউইন ব্যাপারটা আসলে কী? সহজ করে বললে আমাদের কালীপুজোর আগের দিন ‘ভূত চতুর্দশী’ পালনের মতই এটা সাহেবদের এক রীতি।এই উৎসবের উৎপত্তিস্থল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড হলেও কয়েক শতাব্দী ধরে ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ, আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।এখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশেও বিভিন্ন জায়গায় ঘটা করে পালিত হয় সাহেবদের ভূতের উৎসব।


হ্যালোউইনের ইতিহাস জানতে গেলে আমাদের যেতে হবে প্রায় ২০০০ বছর পিছনে। আজকের আয়ারল্যান্ড,ব্রিটেন,উত্তর ফ্রান্সে তখন বাস করত কেল্টিক সম্প্রদায়ের মানুষ। বছরের প্রথম দিনে তাদের ফসল কাটার অনুষ্ঠান বা সামহেন থেকে হলোউইনের উৎপত্তি। কেল্টিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১লা নভেম্বর। এই সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করতেন বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর রাতে মৃত ব্যাক্তিদের আত্মারা জীবিতদের সমস্যায় ফেলতে পৃথিবীতে নেমে আসে।এই অশুভ আত্মাদের তাড়ানোর জন্য জীবিতরা ভূতের মতো পোশাক পরেন, যত্রতত্র আগুন জ্বালিয়ে বন ফায়ারের আয়োজন করা হয়।


অল হ্যালোস ইভ, অল হ্যালোস ইভনিং, অল হ্যালোউইন, অল সেন্টস ইভ নামেও এই উৎসব পরিচিত।খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা আড়ম্বর সহকারে এই উৎসব পালন করেন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও বিশ্বের অনেক জায়গায় এই উৎসবটি খুব জাঁকজমকের সাথে উদযাপন করেন। বাড়ি,হোটেল বা অন্যকোথাও নানারকম ভয়ঙ্কর ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে নানারকম ভৌতিক সাজে সেজে এই মজার উৎসব পালন করা হয়।

হ্যালোউইন ডে উদযাপনে সবচেয়ে বেশী নজর কাড়ে বড় বড় কুমড়োর ব্যবহার।ফাঁপা কুমড়োর মধ্যে চোখ, নাক এবং মুখ খোদাই করে তার মধ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ধরনের লন্ঠন তৈরি করা হয়।বলা হয় বিদেহী আত্মাদের দূরে রাখার জন্য এই সব লন্ঠন ঘরের বাইরে বা গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।প্রাচীনকালে ফসল কাটার সময় প্রচুর কুমড়ো পাওয়া যেত বলেই হ্যালোউইনের সঙ্গে কুমড়োর ব্যবহার জড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ