শনি গ্রহ সম্ভবত আগামী ৩০০ মিলিয়ন বছরে বা তার আগে বলয় হারিয়ে ফেলবে
খোশখবর ডেস্কঃ একটা গ্রহকে ঘিরে বিশাল গোল চাকতি – এই ছবি দিয়েই চেনা যায় আমাদের সোলার সিস্টেমের শনি গ্রহকে।এই গোল চাকতিকে বলা হয় বলয় বা রিং। বলয়ের জন্যই এই গ্রহ জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চোখে অন্যরকম।তবে এই বলয়ই এবার হারিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।কেন এবং কিভাবে শনির বলয় হারিয়ে যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সাধারণের মনে।শনির বলয় হারিয়ে গেলে কী কোনও সমস্যা তৈরি হবে? প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।খোশখবরের এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বলয় রহস্যের সেই বিজ্ঞান সম্মত দিকটাই।
জোতিষ শাস্ত্রে শনি গ্রহকে যে ভাবে দেখা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তার ধার কাছ দিয়েও হাঁটেন না।বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে যাচাই করা এই গ্রহ সৌরজগতের এক বিশাল বস্তুপিণ্ড মাত্র।ভর এবং আকারে সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দূরত্বে সূর্যের ষষ্ঠ নিকটতম গ্রহ।এর চারপাশে আছে ৬০টির বেশী উপগ্রহ এবং বড়-ছোট থেকে অতি খুদে ও ধুলোবালি নিয়ে রয়েছে বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি বলয়।জন্মের হিসেবে শনি গ্রহ চার বিলিয়ন বছরের পুরানো।তবে বলয় বা রিংগুলি পরে তৈরি এবং ১০০ মিলিয়ন বছরের বেশি পুরানো নয়।
এ আই প্রযুক্তির কেরামতি, মুম্বাইয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে আধুনিক বাড়ি
পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষের মতো শনি গ্রহ বলয় সমেত মহাশূন্যে একটি নির্দিষ্ট কৌণিক বিন্দুতে হেলে থেকে তার কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। কিন্তু নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে ২০২৫ সালে অদৃশ্য হয়ে যাবে শনির বলয়? কিন্তু কেন এমনটা হবে?
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর কারন শনি গ্রহের ওই হেলে থাকাই।এখন শনি গ্রহ নিচের দিকে ৯ ডিগ্রি হেলে রয়েছে।২০২৪ সালে হেলে থাকাটা আরও ৩.৭ ডিগ্রি কমে যাবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস থেকেই তার মান শূন্য হয়ে যাবে।আর তখনই কাত হয়ে না থাকার কারনে রিংগুলি পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
পৃথিবীর ঘূর্ণনের অক্ষের মতো শনি গ্রহ বলয় সমেত মহাশূন্যে একটি নির্দিষ্ট কৌণিক বিন্দুতে হেলে থেকে তার কক্ষপথে ঘুরে চলেছে। কিন্তু নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে ২০২৫ সালে অদৃশ্য হয়ে যাবে শনির বলয়? কিন্তু কেন এমনটা হবে?
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এর কারন শনি গ্রহের ওই হেলে থাকাই।এখন শনি গ্রহ নিচের দিকে ৯ ডিগ্রি হেলে রয়েছে।২০২৪ সালে হেলে থাকাটা আরও ৩.৭ ডিগ্রি কমে যাবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস থেকেই তার মান শূন্য হয়ে যাবে।আর তখনই কাত হয়ে না থাকার কারনে রিংগুলি পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে।
জীবনের চলার পথ কঠিন? উত্তরণের নতুন দিশা দেখাতে পারে আবদুল কালামের এইসব উক্তি
তবে কি শনির বলয় ভবিষ্যতে আর দেখাই যাবে না? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এমনটা হওয়ার কোনও কারন নেই।বেশ কয়েক বছর পর ফের পৃথিবী থেকে দেখা যাবে শনির এই বলয়। শনিগ্রহ সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ২৯.৫ বছর সময় নেয় এবং প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বছর অন্তর তার বলয় প্রান্ত সরাসরি পৃথিবীর সঙ্গে শূন্য অ্যাঙ্গেলে চলে আসে। তবে ২০৩২ সাল নাগাদ শনি গ্রহ ২৭ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকবে আর সে সময় পৃথিবী থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যাবে শনির বলয়।
তবে কি শনির বলয় ভবিষ্যতে আর দেখাই যাবে না? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এমনটা হওয়ার কোনও কারন নেই।বেশ কয়েক বছর পর ফের পৃথিবী থেকে দেখা যাবে শনির এই বলয়। শনিগ্রহ সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ২৯.৫ বছর সময় নেয় এবং প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বছর অন্তর তার বলয় প্রান্ত সরাসরি পৃথিবীর সঙ্গে শূন্য অ্যাঙ্গেলে চলে আসে। তবে ২০৩২ সাল নাগাদ শনি গ্রহ ২৭ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকবে আর সে সময় পৃথিবী থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যাবে শনির বলয়।
তবে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা NASA-র ২০১৮ সালের রিপোর্ট জানাচ্ছে শনি গ্রহ সম্ভবত আগামী ৩০০ মিলিয়ন বছরে বা তার আগে বলয় হারিয়ে ফেলবে। কারণ শনির প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে বলয়ের বরফ কণা, ধুলোবালি,ছোট-বড় পাথর গ্রহের ভেতর ঢুকে পড়বে।আগে থাকলেও এখনকার বৃহস্পতি, ইউরেনাস এবং নেপচুনের মতই তা হয়ে পড়বে বলয়হীন।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ