খোশখবর ডেস্কঃ আন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা UFO নিয়ে চর্চা আজকের বিষয় নয়। UFOর বাংলা করলে দাঁড়ায় অজানা উড়ন্ত বস্তু।এই অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো কোথা থেকে আসে, এগুলো মহাবিশ্বের বুদ্ধিমান প্রাণীদের যান কী না নিয়ে বহু বছর ধরে জল্পনা কল্পনা, তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই।
Earth Like Planets আমরা একা নই, মিল্কি ওয়েতেই আছে ৬ বিলিয়ন পৃথিবীর মত গ্রহ! দাবি বিজ্ঞানীদের।
আর UFO নামক রহস্যময় বস্তুর প্রভাব এতটাই গভীর যে বিশ্বজুড়ে পালনের জন্য নির্দিষ্ট করে ফেলা হয়েছে আলাদা একটা দিনকেই।ফি বছর ২রা জুলাই পালিত হয় World UFO Day।
আর UFO নামক রহস্যময় বস্তুর প্রভাব এতটাই গভীর যে বিশ্বজুড়ে পালনের জন্য নির্দিষ্ট করে ফেলা হয়েছে আলাদা একটা দিনকেই।ফি বছর ২রা জুলাই পালিত হয় World UFO Day।
Nancy Grace Roman Space Telescope সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ, জেমস ওয়েবের পর মহাকাশে আরও আধুনিক টেলিস্কোপ পাঠাবে নাসা।
ঘটা করে বিশ্ব UFO দিবস পালন তো করা হয় – কিন্তু সত্যি কী ইউফো আছে? এজন্য আমাদের জেনে নিতে হবে পৃথিবীর বুকে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকি চর্চার ইতিহাসটা।
ঘটা করে বিশ্ব UFO দিবস পালন তো করা হয় – কিন্তু সত্যি কী ইউফো আছে? এজন্য আমাদের জেনে নিতে হবে পৃথিবীর বুকে ফ্লাইং সসার বা উড়ন্ত চাকি চর্চার ইতিহাসটা।
সেই ১৯৪৭ সালে ওয়াশিংটনের মাউন্ট রেইনিয়ারের কাছে স্থানীয় ব্যবসায়ী কেনেথ আর্নল্ড তার ছোট বিমান নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ফ্লাইং সসার দেখেছেন বলে দাবি করেন। বস্তুত এর পর থেকেই একের পর এক অজানা উড়ন্ত বস্তুর কথা সামনে আসতে থাকে। ফ্লাইং সসার টাইপের দেখতে এই সব বস্তু আসলে ভিনগ্রহীদের যান বলে ব্যাখ্যা দেয় কেউ কেউ।
শুধু লিঙ্ক লাইনে ক্লিক করে ঢুকে পড়ুন www.youtube.com/channel/UCppJNWmBwUwu4IO6hjwHmWg |
UFO নিয়ে কল্প বিজ্ঞানের গল্প থেকে বই, তথ্যচিত্র থেকে নানা রকমের রিপোর্ট কম লেখা হয় নি। ৬০, ৭০, ৮০, ৯০এর দশকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতই UFO ছিল এক হট কেক বিষয়। বাস্তব ভিত্তি থাক বা না থাক নানা ফরম্যাটে UFO চর্চা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তবে এসব নিয়ে বিরোধিতাও কম হয় নি।গোটাটাকেই নানাভাবে ফায়দা তুলতে এক ধরণের প্রচার বলে তোপ দাগে বিজ্ঞানমনস্ক বিশ্ব। আর এটাও ঠিক যে UFO দর্শন আর ভিনগ্রহী চর্চার অধিকাংশটাই হয়েছে আমেরিকা জুড়ে।
এত সব চর্চার সারবত্তা খুঁজে পেতেই ২০২২ সালে উড়ন্ত চাকি এবং ভিনগ্রহী নিয়ে তদন্ত করার কথা ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। তৈরি করা হয়, অল-ডোমেইন অনোমালি রেজোলিউশন অফিস বা এএআরও। সমস্ত ধরনের অনুসন্ধানের পর মার্কিন কংগ্রেসে ২ পর্বে রিপোর্ট দেয় AARO। তাতে বলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যত এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে কোথাও ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণী বা তাদের এরকম যানের প্রমাণ মেলেনি। অর্থাৎ UFOয় ভিনগ্রহী আসার তথ্য মিথ্যে। স্পেস ডট কম তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়।
তাহলে কী দাঁড়াল? UFO র সারবত্তা সেভাবে না থাকলেও তাকে নিয়ে চর্চার অভাব নেই।অনেকের মতে এমন দিনে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব, ব্রহ্মাণ্ডে এলিয়েনের থাকা না নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে।সদ্য এলিয়েনরা আমাদের চারপাশে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে বলেই সদ্য হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন। কাজেই থামছে না, অজানা উড়ন্ত বস্তু নিয়ে রহস্য জিয়েই থাকছে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ