খোশখবর ডেস্কঃ মাত্র ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে আটকা পড়ে গিয়েছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর।এখনই তাদের ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে নাসা।মহাকাশ স্টেশনে থাকলেও তাঁদের এই না ফেরাটা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।নিরাপদে ফেরার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে প্রয়োজনীয় খাবার, অক্সিজেন ও শারীরিক সুস্থতা নিয়ে।এই ভিডিওতে আমরা আমরা জেনে নেব সেই আশঙ্কার যৌক্তিকতা কতটা?
গত জুন মাসে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে মহাকাশে রওনা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচর সুনীতা উইলিয়ামস। সঙ্গে যান বুচ উইলমোর। মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহাশূন্যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন আটকে রয়েছেন তাঁরা।অভিযোগ উঠেছে মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানা থাকলেও দুই মহাকাশ্চারীকে কেন এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হল তা নিয়ে।
মহাকাশ স্টেশন এমন জায়গা নয় যেখানে চাইলেই কোনও রকেট পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।এর জন্য লাগে দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা। যদিও নাসা জানিয়েছে যে এ বছর নয় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরও একটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। ততদিন স্পেস স্টেশনেই থাকতে হবে তাঁদের।
আট দিনের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে নিরুপায় হয়ে আট মাস মহাকাশে আটকে থাকার ফলে তাঁদের গুরুতর শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার পাশাপাশি পেশি আর হাড়ের ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।যদিও নাসার দাবি, দীর্ঘদিন স্পেস স্টেশনে থাকলেও সুনীতা এবং ব্যারির প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা নেই। এমন কী খাবার, অক্সিজেনও ফুরিয়ে যাবে না।এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে রাখছে ভূবন বিখ্যাত এই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।
আট দিনের মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে নিরুপায় হয়ে আট মাস মহাকাশে আটকে থাকার ফলে তাঁদের গুরুতর শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার পাশাপাশি পেশি আর হাড়ের ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।যদিও নাসার দাবি, দীর্ঘদিন স্পেস স্টেশনে থাকলেও সুনীতা এবং ব্যারির প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা নেই। এমন কী খাবার, অক্সিজেনও ফুরিয়ে যাবে না।এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করে রাখছে ভূবন বিখ্যাত এই মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।
মহাকাশ স্টেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সম্প্রতি দুটি মহাকাশযানে করে ৮,২০০ পাউন্ড ওজনের খাদ্য, জ্বালানীর পাশাপাশি ‘তিন টন মালপত্র’ আইএসএস-এ পৌঁছেছে। স্টেশনে থাকা, খাওয়া, ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও ব্যবস্থা রয়েছে। নভোচারীরা প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাসার মাধ্যমে ভিডিও কল, অডিও কল বা ইমেল পাঠাতে পারেন।
শরীরচর্চার জন্য স্পেস স্টেশনে জিম আছে, টাটকা খাবারের জন্য আছে সবজি বাগান।আটকে থাকা এই সময়কালে নানা গবেষণার কাজে যুক্ত থাকবেন উইলিয়ামস এবং উইলমোর। আর নাসার যা পরিকল্পনা তাতে আর বোয়িং স্টারলাইনার নয় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এলন মাস্কের স্পেসএক্স মহাকাশযানে চড়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন দুই মহাকাশচারী।
তথ্যঃএনডিটিভি
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ