খোশখবর ডেস্কঃ গণেশকে নিয়ে ভারতবর্ষে উন্মাদনার শেষ নেই। গণেশ পুজো বা গণেশ উৎসব হচ্ছে বর্তমানে মহারাষ্ট্রের সব থেকে বড় উৎসব। মুম্বইয়ের গণেশ উৎসবে বিশাল বিশাল মূর্তি ও প্যান্ডেল নজরকাড়ে গোটা বিশ্বের।এছাড়া গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই ছড়িয়ে আছে নানা আকারের ও নানা আঙ্গিকের গণেশ মূর্তি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গণেশ মূর্তির দেখা পেতে আপনাকে যেতে হবে থাইল্যান্ডে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতির কেন্দ্র থাইল্যান্ডের চাচোয়েংসাওতে দাঁড়িয়ে আছে ৩৯ মিটার বা প্রায় ১২৮ ফুট উঁচু গণেশ মূর্তি।
আরও পড়ুনঃ
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গণেশ মূর্তিটি যেন এই শতাব্দীর এক আধুনিক বিস্ময়।২০১২ সালে এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হলেও তা তৈরি হওয়া শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। চাচোয়েংসাও - এর খলং খুয়ান জেলায় ৪০,০০০ বর্গ মিটারের বিস্তৃত ল্যান্ডস্কেপে এই মূর্তিটি তাঁর ভিত্তি সহ একটি ১৪-তলা ভবনের সমান লম্বা।শ্রীগণেশ ডট কম এই তথ্য দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
এই গণেশ মূর্তিটিকে ঘিরেই বৌদ্ধধর্মের স্থান থাইল্যান্ডে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র। খলং খুয়ান গণেশ আন্তর্জাতিক উদ্যান একটি তীর্থস্থানও বটে।এখানে চাচোয়েংসাও-এর স্থানীয় ইতিহাস জাদুঘরও রয়েছে।
এমন একটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যের কেন্দ্র দূর-দূরান্ত থেকে দর্শকদের আকর্ষণ করে। নৈসর্গিক ব্যাং পাকং নদীর পটভূমিতে অবস্থিত, এই সাইটটি ক্রমেই বিশ্ব পর্যটনের গন্তব্য হয়ে উঠেছে।বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গণেশ মূর্তিটি বিশ্বাস, একতা এবং ঐশ্বরিক আশীর্বাদের একটি বিশাল প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এখানে।
থাইল্যান্ডে,গণেশকে বলা হয় ফ্রা ফিকানেট বা সৌভাগ্য ও সাফল্যের দেবতা। বাধা দূরকারী ভগবান হিসেবে গণেশকে পুজো করা হয়। চাচোয়েংসাওতে সবচেয়ে উঁচু মূর্তির পাশাপাশি এখানকার ওয়াট ফ্রং আকাতে রয়েছে বিরাট বসে থাকা গণেশকে। এটি ৪৯ মিটার উচু এবং ১৯ মিটার চওড়া।
এছাড়া চাচোয়েংসাওর ওয়াট সামান রত্নরামে রয়েছে বৃহৎ হেলান দেওয়া গণেশ।এই মূর্তি ১৬ মিটার উঁচু এবং ২২ মিটার দীর্ঘ।
ছবিঃ এক্স সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ