একনজরে

10/recent/ticker-posts

Supermoon ‘Beaver Moon’ আকাশে আশ্চর্য চাঁদ,এই সুপারমুনের গল্প আপনাকে অবাক করে দেবে

আকাশে আশ্চর্য চাঁদ,এই সুপারমুনের গল্প আপনাকে অবাক করে দেবে

খোশখবর ডেস্কঃ রাতের আকাশে দেখুন ম্যাজিক।এবার রাতের আকাশে দেখা যাবে ২০২৪-এর শেষ সুপারমুন।আগস্টের ব্লু মুন, সেপ্টেম্বরের হারভেস্ট মুন এবং অক্টোবরের হান্টার মুনের পর এই সুপারমুনটির নাম ‘বিভার মুন’।শীতের শুরুতে এই চাঁদকে ‘বিভার মুন’ বলে।নাসার তথ্য অনুযায়ী এই চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল।

আরও পড়ুনঃ 


মহাবিশ্বে সবচেয়ে ঝলমলে বস্তুর খোঁজ


সুপারমুন আসলে কি?

নাসার মতে, একটি সুপারমুন তখনই দেখতে পাওয়া যায় যখন একটি পূর্ণ বা অমাবস্যা চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে আসে। এই সময় আকাশে চাঁদকে ১৪% বড় এবং ৩০% বেশি উজ্জ্বল দেখায়। সুপারমুন বছরে কয়েকবার ঘটে, কারণ চাঁদের কক্ষপথ একে একে পৃথিবীর কাছাকাছি নিয়ে আসায় সুপারমুন বছরে কয়েকবার ঘটে। তবে সুপারমুন দিগন্তের কাছাকাছি থাকলে প্রতিসরণের কারণে তা আরও বড় করে দেখা যেতে পারে।‘সুপারমুন’ শব্দটি ১৯৭৯ সালে জ্যোতিবিজ্ঞানী রিচার্ড নোলে প্রথম জনপ্রিয় করে তোলেন।যদিও এখন জ্যোতির্বিজ্ঞানে এই দৃশ্যমান উজ্জ্বল পূর্ণিমাকে বর্ণনা করার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

এই সুপারমুনের গল্প আপনাকে অবাক করে দেবে

কখন দেখা যাবে ‘বিভার চাঁদ’?

হিসেব বলছে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ নভেম্বর বিকেল ৪.২৯ মিনিট ইএসটি-এ [4:28 p.m. EST (2128 GMT)] তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাবে, তবে এটি শনিবার ১৬ নভেম্বরও প্রায় পূর্ণ অবস্থায় দেখাবে।এই চাঁদ উত্তর দৃশ্যমান হবে বিশ্বজুড়েই।‘বিভার চাঁদ’কে স্বমহিমায় দেখা যাবে ভারতেও।ভারতে শুক্রবার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যে থেকে সুপার মুন দেখা গেলেও মধ্যরাত ২টো ৫৮ মিনিটে তা সর্বোচ্চ আলোকমাত্রায় পৌঁছে যাবে।তবে, ভারতীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য চাঁদকে সবচেয়ে দুর্দান্তভাবে ধরার সেরা সময়টি হবে ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা, সূর্যাস্তের ঠিক পরে যখন চাঁদ দিগন্তে উঠবে তখন।আকাশে বৃষ রাশিতে অবস্থিত ‘বিভার মুন’এর সঙ্গে থাকবে সুন্দর প্লিয়েডস তারকা ক্লাস্টার, যা ‘সেভেন সিস্টার’ নামেও পরিচিত।এছাড়াও আপনি দেখতে পেয়ে যেতে পারেন বুধ, শুক্র, শনি এবং বৃহস্পতি চারটি দৃশ্যমান গ্রহকেও।১৬ নভেম্বর শুক্রবারও আকাশের দিকে তাকালে দেখা পাবেন এই বড় চাঁদের।

এই সুপারমুনের গল্প আপনাকে অবাক করে দেবে

আরও পড়ুনঃ

কেন ‘বিভার মুন’ নাম?

শীত আসার আগে নভেম্বরে এই চাঁদকে ‘বিভার মুন’ বলেন উত্তর আমেরিকাবাসী,যার পিছনে কারণ রয়েছে।জানা যায়,এই সময় থেকেই স্থানীয় ইঁদুর জাতীয় প্রাণী বিভাররা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত খাবার মজুত করে নিজেদের গর্তে ঢুকে পড়ে।তবে শীতের শুরুর এই পূর্ণিমা চাঁদকে কোল্ড মুন, উইন্টার মুন, ফ্রস্ট মুন, ওক মুন, মুন বিফোর ইয়ুল, চাইল্ড মুন নামেও ডাকা হয়।ভারতে পুরাকাল থেকেই উত্তরাংশে কার্ত্তিক পূর্ণিমা এবং দক্ষিণাঞ্চলে কার্ত্তিকা দীপম পার্বণ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।
 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code