খোশখবর ডেস্কঃ এই মুহূর্তে ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ।‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ (World Happiness Report) অনুযায়ী ফিনল্যান্ড বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের শীর্ষে রয়েছে।কিন্তু কেন এমনটা হয়? গোটা বিশ্বে একটু সুখের জন্যে মানুষ কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করছে, ইদেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভাল খাবার দেখলেই লাফিয়ে পড়ছে সেখানে ফিনল্যান্ডের মানুষের সুখের পেছনে কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে যা অন্য দেশে নেই? অনেকেই বলে ফিনল্যান্ডে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যকার বৈষম্য নেই।পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে এমন পরিবেশ রয়েছে যে সেখানে কর্মীরা কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভালোভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।অন্যদিকে এই দেশে রাজনৈতিক, নাগরিক, এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে অনেক উঁচুতে স্থান দেওয়া হয়। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ই উচ্চ স্তরের স্বাধীনতা অনুভব করে।
আরও পড়ুনঃ
উত্তরণের নতুন দিশা দেখাতে পারে আবদুল কালামের এইসব উক্তি
কোন দেশ কতটা সুখী তা ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’এ কিছু সূচকের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এই সূচকগুলো মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং সুখের মাত্রা পরিমাপ করতে সাহায্য করে। খোশখবরের পাতায় ফিনল্যান্ডের এই সফলতার কিছু মূল কারণ তুলে ধরা হল:
১. উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। এখানে শিক্ষার উপর চাপ কম, এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিকাশ ও সৃজনশীলতা গুরুত্ব পায়। শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব এবং উচ্চমানের প্রশিক্ষণও একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
২. উন্নত স্বাস্থ্যসেবাঃ ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা সর্বজনীন, মানসম্মত এবং সহজলভ্য। সবার জন্য বিনামূল্যে বা কম খরচে চিকিৎসা পাওয়া যায়, যা মানুষের আর্থিক চাপ কমায় এবং সুখী জীবনযাপন নিশ্চিত করে।
৩. সামাজিক সুরক্ষাঃ ফিনল্যান্ডে একটি শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বেকার ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুসেবা, এবং পেনশন ব্যবস্থার মতো সুবিধাগুলো নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. বিশ্বস্ত প্রশাসন ও কম দুর্নীতিঃ ফিনল্যান্ডে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বচ্ছ, এবং দুর্নীতি প্রায় নেই বললেই চলে। নাগরিকরা সরকারের ওপর আস্থা রাখে এবং মনে করে যে তাদের সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
৫. প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীবনের ভারসাম্যঃ ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ-বান্ধব জীবনধারা নাগরিকদের মানসিক শান্তি এনে দেয়। এখানকার বাসিন্দারা কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম, যা সুখী জীবনযাপনে সহায়ক।
৬. সামাজিক সমতা ও সম্প্রদায়ের সংযোগঃ ফিনল্যান্ডে ধনী-গরিবের মধ্যে পার্থক্য খুব কম। মানুষজনের মধ্যে সামাজিক সংযোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ়। এতে করে নাগরিকরা নিজেকে একা অনুভব করে না।
৭. নিরাপত্তা এবং শান্তিঃ ফিনল্যান্ড একটি নিরাপদ এবং শান্ত দেশ। এখানে অপরাধের হার খুব কম, যা নাগরিকদের মানসিক শান্তি দেয়।
ফিনল্যান্ডের এই বৈশিষ্ট্যগুলো একত্রে একটি সুখী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলেছে। এ কারণেই দেশটি বারবার বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।আসলে ফিনল্যান্ডবাসীদের সুখ তার সমাজে উচ্চ স্তরের বিশ্বাস থেকেই ব্যাখ্যা করা হয়।
কোন দেশ কতটা সুখী তা ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’এ কিছু সূচকের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এই সূচকগুলো মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং সুখের মাত্রা পরিমাপ করতে সাহায্য করে। খোশখবরের পাতায় ফিনল্যান্ডের এই সফলতার কিছু মূল কারণ তুলে ধরা হল:
১. উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। এখানে শিক্ষার উপর চাপ কম, এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিকাশ ও সৃজনশীলতা গুরুত্ব পায়। শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব এবং উচ্চমানের প্রশিক্ষণও একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
৩. সামাজিক সুরক্ষাঃ ফিনল্যান্ডে একটি শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। বেকার ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, শিশুসেবা, এবং পেনশন ব্যবস্থার মতো সুবিধাগুলো নাগরিকদের জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. বিশ্বস্ত প্রশাসন ও কম দুর্নীতিঃ ফিনল্যান্ডে প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বচ্ছ, এবং দুর্নীতি প্রায় নেই বললেই চলে। নাগরিকরা সরকারের ওপর আস্থা রাখে এবং মনে করে যে তাদের সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
৬. সামাজিক সমতা ও সম্প্রদায়ের সংযোগঃ ফিনল্যান্ডে ধনী-গরিবের মধ্যে পার্থক্য খুব কম। মানুষজনের মধ্যে সামাজিক সংযোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ়। এতে করে নাগরিকরা নিজেকে একা অনুভব করে না।
৭. নিরাপত্তা এবং শান্তিঃ ফিনল্যান্ড একটি নিরাপদ এবং শান্ত দেশ। এখানে অপরাধের হার খুব কম, যা নাগরিকদের মানসিক শান্তি দেয়।
আরও পড়ুনঃ
৮. মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বঃ মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ফিনল্যান্ডে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সহায়তামূলক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সচেতনতা প্রচারণার মাধ্যমে মানুষ মানসিক চাপ সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে।
ফিনল্যান্ডের এই বৈশিষ্ট্যগুলো একত্রে একটি সুখী ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তুলেছে। এ কারণেই দেশটি বারবার বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।আসলে ফিনল্যান্ডবাসীদের সুখ তার সমাজে উচ্চ স্তরের বিশ্বাস থেকেই ব্যাখ্যা করা হয়।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ