একনজরে

10/recent/ticker-posts

WORLD TOILET DAY শৌচাগারই নেই, এখনও বাইরে মলত্যাগ করে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ

এখনও বাইরে মলত্যাগ করে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ

খোশখবর ডেস্কঃ এই মুহূর্তে আমাদের ধরিত্রীর বুকে বাস করে ৮.২ বিলিয়ন বা ৮০০০ কোটিরও বেশি মানুষ। তার মধ্যে ৩.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখনও কোনও নিরাপদ টয়লেটের ব্যবস্থাই নেই। পাশাপাশি এরই মধ্যে গোটা পৃথিবীতে ৪১৯ মিলিয়ন বা ৪১ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ নিরাপদ ব্যবস্থা তো দূরে থাক, মলত্যাগ করে একেবারে খোলা যায়গায়। ১৯ নভেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস’ উপলক্ষ্যে এই তথ্য সামনে এনেছে স্ট্যাটিস্টা ডট কম

আরও পড়ুনঃ


জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’র এই বছরের থিম হল 'শৌচাগার: শান্তির জন্য একটি জায়গা'।ভাল এবং উন্নত শৌচাগার ব্যবস্থা রোগ-বালাই থেকে দূরে রাখে মানুষকে। নানা দেশের সংঘাত, রাজনৈতিক পালাবদল,গৃহযুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ এবং অবহেলার কারণে জীবনে নানা হুমকির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। ইউনিসেফের তথ্য যেসব শিশু অত্যন্ত খারাপ ও কঠিন পরিস্থিতিতে বাস করে তাদের খোলা মলত্যাগের অভ্যাস করার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি, মৌলিক স্যানিটেশন পরিষেবা না মেলার সম্ভাবনা চার গুণ বেশি এবং পানীয় জল পরিষেবার না পাওয়ার সম্ভাবনা আট গুণ বেশি।

আরও পড়ুনঃ

এখনও বাইরে মলত্যাগ করে প্রায় ৪২ কোটি মানুষ

বিশ্ব জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার মধ্যে নেই,যার অর্থ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তারা। তবে বাইরে মলত্যাগ বন্ধ করতে এবং সকলের জন্য শৌচাগার পরিষেবার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। যেমন ২০০০ সালে বাইরে বা খোলা জায়গায় মলত্যাগ করত ১.৩ বিলিয়ন মানুষ। ২০১৭ সালে কোনও বাথরুমে অ্যাক্সেস নেই এমন মানুষের সংখ্যা ছিল ৬৭৩ মিলিয়ন এবং ২০২২ সালে তা ৪১৯ মিলিয়নে নেমে গেছে।


স্ট্যাটিস্টার তথ্য বলছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জেরে সাব-সাহারান আফ্রিকায় এখনও সেভাবে উন্নতি না হলেও কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, নেপাল এবং ভারতে ২০০০ সালের পর থেকে বাইরের মলত্যাগ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে এসেছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে, ভারতের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে একটি টয়লেট অ্যাক্সেস ছিল না। তারপর স্বচ্ছ ভারত বা পরিচ্ছন্ন ভারত অভিযানের জেরে ২০২২ সালে তা নেমে এসেছে জনসংখ্যার মাত্র ১১ শতাংশে।

তথ্যঃ স্ট্যাটিস্টা ডট কম / ছবি - 
www.un.or   


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code