খোশখবর ডেস্কঃ আমেরিকা যাবেন? প্রায় ১২,৬৮০ কিমি দূরত্বে অবস্থান করা এই দুই দেশে তাড়াতাড়ি যেতে বিমান ছাড়া গতি নেই।আর ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বিভিন্ন রকমের ফ্লাইট এই যাত্রাপথে সময় নেয় প্রায় ২২ ঘন্টা থেকে ৩৮ ঘন্টা।কিন্তু কেউ যদি বলে এই দূরত্বই আপনি পার করে ফেলবেন মাত্র আধ ঘন্টায়? কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও ভবিষ্যতের আকাশযান সম্ভবত হতে চলেছে এমনই। সৌজন্য এই বিশ্বের সবচেয়ে চর্চিত ধনকুবের এলন মাস্ক এবং তাঁর আলট্রা-ফাস্ট স্টারশিপ রকেট।এনডিটিভি ডট কমের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হতেই বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে একযোগে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’-র দ্বায়িত্ব পেয়েছেন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক।SpaceX এর ‘আর্থ-টু-আর্থ’ মহাকাশ ভ্রমণ প্রকল্প শীঘ্রই বাস্তবে রূপায়িত হবে বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ট্রাম্পের এই উচ্চাভিলাষী বন্ধু।
প্রায় দশ বছর আগে প্রথম আলোচনায় উঠে আসা স্পেসএক্সের এই স্টারশিপ রকেট বিশ্বের এমন শক্তিশালী রকেট হতে চলেছে যা অভূতপূর্ব গতিতে আন্তঃমহাদেশীয় সফরে সক্ষম হবে।ডেইলি মেইলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, স্টারশিপ প্রতি ট্রিপে ১০০০ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।গভীর মহাকাশে যাওয়ার পরিবর্তে এই রকেট পৃথিবীর পৃষ্ঠের সমান্তরাল কক্ষপথে উড়তে পারবে।আর এই সফরে সে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টরন্টো যাবে মাত্র ২৪ মিনিটে, লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যাবে ২৯ মিনিটে, দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাবে ৩০ মিনিটে এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই যাবে ৩৯ মিনিটে৷
সম্প্রতি এক্স সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যবহারকারী এক দেশ থেকে আর এক দেশে এই অকল্পনীয় গতিতে স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের ছুটে যাওয়া নিয়ে প্রকল্পের একটি প্রচারমূলক ভিডিও শেয়ার করায় অলোচনাটি গতি পেয়েছে।পোস্টটিতে অনুমান করে বলা হয়েছে যে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সম্ভাব্য দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে উদ্যোগটিকে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে।
Under Trump's FAA, @SpaceX could even get Starship Earth to Earth approved in a few years — Taking people from any city to any other city on Earth in under one hour. pic.twitter.com/vgYAzg8oaB
— ALEX (@ajtourville) November 6, 2024
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ