খোশখবর ডেস্কঃ ফের বসে গেল রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনের আসর। এবার ইউনাইটেড নেশনস-এর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কাঠামোগত চুক্তি (UNFCCC)-এর ৩০তম বার্ষিক সম্মেলন বা COP30র বসেছে ব্রাজিলের বেলেম শহরে। এটি ২০১৪ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথম হওয়া COP সম্মেলন। ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া এই কনফারেন্স চলবে ২১ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। জানা যাচ্ছে এতে অংশ নিয়েছে প্রায় ২০০টি দেশ।
ব্রাজিলে COP30 –এর আসর কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল আমাজনকে এই বিশ্বের ফুসফুস বলা হয়। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই বনাঞ্চল। বেলেমের অবস্থান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি আমাজন অরণ্যের প্রবেশদ্বার। সম্মেলনের পূর্ববর্তী প্রস্তুতি-পর্ব শুরু হয় ৬ নভেম্বর থেকেই, এবং এই সময় ব্রাজিল প্রতীকীভাবে তার রাজধানী বেলেমে স্থানান্তর করে। এখানেই সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বন সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার বার্তা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কী হবে ব্রাজিলে COP30র আসরে?
ব্রাজিলের COP30 জলবায়ু সম্মেলনকে বিশ্ব পরিবেশ রাজনীতির এক ঐতিহাসিক মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবারের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি দেশ তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের অঙ্গীকার( NDC) জমা দেবে। আশা করা হচ্ছে বেশিরভাগ দেশই এই পরিকল্পনা COP30-তে প্রকাশ করবে। বর্তমান অঙ্গীকারগুলো ২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্র ১০% নিঃসরণ কমানোর ইঙ্গিত দিলেও আসলে ১.৫°C লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন ৬০% হ্রাস।
COP29-এ ধনী দেশগুলোর প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অনুদানের অঙ্গীকারের অগ্রগতি কতটা হল তার মূল্যায়ন করা হবে। এই অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলির বিভিন্ন জলবায়ু ক্ষতি রুখতে ব্যবহার করা হবে। আমাজন অরণ্য সংরক্ষণে Tropical Forests Forever Facility (TFFF) তহবিলের মতো উদ্যোগকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।The UN Climate Conference kicked off in Brazil with an urgent call for more ambitious #ClimateAction.#COP30 aims to accelerate action under the #ParisAgreement, strengthen international cooperation & speed up action across all sectors of all economies.https://t.co/wI9ralPUWc pic.twitter.com/ASi7wn2LG7
— United Nations (@UN) November 11, 2025
সাফল্য মিলবে ব্রাজিলে?
ব্রাজিলের COP30র লক্ষ্য হলো বাস্তবায়নের গতি বাড়িয়ে এক দশকব্যাপী জলবায়ু অগ্রগতি শুরু করা। বছর বছর হওয়া এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হল ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুসারে শিল্প-পূর্ব সময়ের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে সর্বাধিক ১.৫°C এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন এখনই যদি দেশগুলো আরও সাহসী ও দৃঢ় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ১.৫°C লক্ষ্য অর্জন ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়বে। তবু COP30 কে অনেকেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ‘শেষ বড় সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন। তবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ, পরিকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং রাজনৈতিক চাপ।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ