খোশখবর ডেস্কঃ ফি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন হিসেবে পালন করা হয়। খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষেই পালিত হয় বড়দিন। তবে এই দিনটিই যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কিনা তা নিয়ে নানা বিতর্ক আছে।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিন বলে মানা হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেবে এই দিনটি মোটেই বড় নয়। এর জন্য জেনে নেওয়া দরকার সূর্য ও তার চারপাশে পৃথিবীর ঘূর্ণনের হিসেব। সূর্যকে ঘোরার সময় পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে প্রায় ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে, যা প্রায় ৬৬.৫° কোণ তৈরি করে কক্ষীয় সমতলের সঙ্গে । আর এটাই পৃথিবীর ঋতু পরিবর্তন ও দিন-রাতের দৈর্ঘ্যের তারতম্যের প্রধান কারণ।
আরও 'খোশখবর' KHOSHKHOBOR/ সার্চ 'গুগল'
ঘোরার সময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ একবার সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে আবার একবার পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধ ক্রমাগত সূর্যের কাছে আসতে থাকে এবং উত্তর গোলার্ধ আরও দূরে সরে যেতে থাকে।এই সময় উত্তর গোলার্ধে ( আমরা যে দিকে থাকি) দিন ক্রমশ ছোট ও রাত বড় হতে থাকে।পাশাপাশি দক্ষিণ গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো এবং রাত ছোট হতে থাকে।
হিসেব মত ২১ বা ২২ ডিসেম্বর শীত অয়নান্ত। এই দিনেই দিন সবচেয়ে ছোট।রাত সবচেয়ে লম্বা। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সূর্য দক্ষিণায়ন থেকে উত্তরায়ণ শুরু করলেও দিনের দৈর্ঘ্য তখনও খুব সামান্য বাড়ে। কাজেই বিজ্ঞানের হিসেবে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন হলেও দিন বড় নয়।
তাহলে আসলে বড়দিন বা দিন বড় কবে? হিসেবমত সেটা ২১ জুনের আশেপাশে। এই দিনে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার ওপর থাকে। ভারত সহ উত্তর গোলার্ধে তখন দিন সবচেয়ে লম্বা এবং রাত সবচেয়ে ছোট।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ