খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে সোনার চাহিদা।ভারতীয়দের কাছে সোনার গয়না নিজেকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি আভিজাত্যেরও প্রতীক।কার কাছে কত সোনা আছে,কে কত সোনার গহনা পরতে পারে তার উপরেই নির্ভর করে তার সামাজিক স্ট্যাটাস। প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হোক বা সামাজিক অনুষ্ঠান দাম আকাশছোঁয়া হলেও সবেতেই এখনও সোনার চাহিদা তুঙ্গে।ধনতেরাস,দীপাবলির মত অনুষ্ঠানে সোনা বা রুপো কেনার রেওয়াজ থাকলেও এই সোনালী ধাতুটিকে এখন অনেকেই বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে দেখেন।
ভারতের মত সোনা পাগল দেশের বাসিন্দাদের সকলের কাছে মিলিয়ে ঠিক কতটা হলুদ ধাতু আছে তার সঠিক হিসেব না মিললেও চিন্তা বেড়েছে সোনার উৎপাদন নিয়ে।এখন প্রশ্ন উঠছে পৃথিবীতে স্বর্ণের মজুত কি শেষের পথে? মানবসভ্যতা কি ‘পিক গোল্ড’ বা সোনা উৎপাদনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে? এই নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাজির করেছে স্ট্যাটিস্টা ডট কম।
তাদের তথ্যে বলা হচ্ছে চিনের হুনান প্রদেশ সহ নতুন সোনার খনি এখনও আবিষ্কৃত হলেও বড় মাপের মজুত ক্রমে বিরল হয়ে উঠছে। জানা যাচ্ছে উৎপাদনের একটা বড় অংশই আসছে সেইসব পুরোনো খনি থেকে, যেগুলি কয়েক দশক ধরে চালু রয়েছে। ওয়েবসাইট Mining.com-এর তথ্য হাজির করে স্ট্যাটিস্টা জানাচ্ছে সোনা উৎপাদনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের খনিগুলো থেকে ২.৭০ মিলিয়ন আউন্স (৭৬.৫ মেট্রিক টন) সোনা উত্তোলন করা হয়েছে।
You will find more infographics at Statista এর পরেই আছে উজবেকিস্তানের মুরুনতাউ স্বর্ণক্ষেত্র।২০২৪ সালে এর উৎপাদন প্রায় ২.৬৮ মিলিয়ন আউন্স। ১৯৮০-এর দশকে আবিষ্কৃত ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশে অবস্থিত গ্রাসবার্গ স্বর্ণখনি বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সোনা উৎপাদক খনি।২০২৪ সালে যার উৎপাদন ছিল ১.৮৬ মিলিয়ন আউন্স বা ৫৯ টন। এরপরই রয়েছে রাশিয়ার সেভেরো-ইনিসেইস্কি জেলায় অবস্থিত অলিম্পিয়াদা স্বর্ণক্ষেত্র, যা ১৯৭৫ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ২০২৪ সালে সেখানে উৎপাদন হয়েছে ১.৪৪ মিলিয়ন আউন্স (প্রায় ৪০ টন)।
তথ্যঃ স্ট্যাটিস্টা ডট কম
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ