খোশখবর ডেস্কঃ ক্রিসমাস ডে এমন এক উৎসব যা পালিত হয় গোটা বিশ্বজুড়ে। বলা হয় উপহার, গান, খাবার আর আনন্দ—সব মিলিয়ে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব। দ্য ফ্যাক্ট সাইট ডট কম জানাচ্ছে ১৬০টিরও বেশি দেশে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ সামিল হন এই উৎসবে।
বলা হয় বহু শতাব্দী আগে ডিসেম্বর মাসে পালিত প্রাচীন রোমান উৎসব স্যাটার্নালিয়া থেকেই এই ক্রিসমাস ডে উদ্যাপনের সূচনা হয়েছে। এই উৎসবটি উৎসর্গ করা হত রোমান দেবতা স্যাটার্ন-এর উদ্দেশে।
বিচিত্র খবরের দুনিয়া, 'খোশখবর' ইউটিউব চ্যানেল
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর বহু খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবেই পালন করেন। যদিও যিশু খ্রিস্টের জন্ম ২৫ ডিসেম্বর হয়নি, বাইবেলে কোথাও এই তারিখের উল্লেখ নেই। বাইবেল বিশেষজ্ঞদের প্রায় সকলেই একমত যে যিশুর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর নয়। অনেক ঐতিহাসিকের মতে যিশুর জন্ম হয়েছিল বসন্ত, গ্রীষ্ম বা শরৎকালে।
গুগলে আরও 'খোশখবর'
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বিশ্বজুড়েই ক্রিসমাস আদর্শ এক উপলক্ষ। তবে জাপানে ক্রিসমাস জাতীয় ছুটি নয়, কারণ সেখানে খ্রিস্টান জনসংখ্যা খুব কম। তবুও সেখানে ১৯৭৪ সাল থেকে ক্রিসমাসে কেএফসি খাওয়ার চল রয়েছে। টার্কির বদলে মুরগির মাংসই সেখানে ক্রিসমাস ডিনারের বিকল্প।
ক্রিসমাস এলেই চলে আসে ‘Xmas’(এক্স মাস) এর কথা। অনেকে মনে করেন “Xmas” শুধু “Christmas”-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। কিন্তু আসলে, ‘X’ হল গ্রিক অক্ষর ‘Chi’ যা গ্রিক শব্দ ‘Christos’ (খ্রিস্ট)-এর প্রথম অক্ষর।
হিসেব মত ২৫ ডিসেম্বরই হল ক্রিসমাসের প্রথম দিন। ২৫ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাসের ১২ দিন, যা শেষ হয় ৫ জানুয়ারি। বড়দিনের মোজা নিয়েও মজার গল্প আছে। বলা হচ্ছে ডাচদের থেকেই এসেছে ক্রিসমাস স্টকিং। ১৬শ শতকে নেদারল্যান্ডসে শিশুরা আগুনের পাশে জুতো রেখে দিত। সকালে উঠে তারা জুতোর ভেতর উপহার পেত। বলা হয় এই রীতিই পরে রূপ নেয় ক্রিসমাস স্টকিং রাখার প্রথায়। সেই প্রথা মেনে আজও শিশুরা সান্টাক্লজের থেকে স্টকিংয়ে চকলেট, কমলা বা ছোট উপহার পায়।

0 মন্তব্যসমূহ