খোশখবর ডেস্কঃ রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় এবং অতিবৃষ্টির কারণে ২০২৫ সাল জলবায়ু বিপর্যয়ের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর বছর হয়ে উঠেছে। দ্য গার্ডিয়ান ডট কমের তথ্য অনুযায়ী ক্রিশ্চিয়ান এইড-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ১০ জলবায়ুজনিত দুর্যোগে বীমা ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণই দাঁড়িয়েছে ১২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
খ্রিস্টান এইড (Christian Aid) পরিচালিত এই প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে ক্ষতি হওয়া জলবায়ু দুর্যোগগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— বনভূমির দাবানল, ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যা এবং খরা।
গুগলে আরও 'খোশখবর'
আর্থ ওআরজি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসে সংঘটিত ভয়াবহ দাবানল। এতে সরাসরি অন্তত ৩১ জনের মৃত্যুর পরে আরও প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যুর খবর মেলে।গবেষকদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনই এই দাবানলকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এর পরেই আছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রাণঘাতী বন্যা।এই দুর্যোগে ১,৮০০–রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার।
আরও দেখুন
এরপর আরও যেসব দুর্যোগ পৃথিবীর বুকে হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— চিন, ভারত, পাকিস্তান ও টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যা। চারটি বড় ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর হারিকেন মেলিসা।
তবে বীমা-নির্ভর এই হিসাবের চেয়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি আরও অনেকবেশি। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের জীবিকা হারানো, দীর্ঘমেয়াদি আয়ের ক্ষতি, পরিবেশের স্থায়ী ক্ষয় ও বহু মানুষের চিরস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি।
আমেরিকা ইউরোপের উন্নত দেশে বীমা থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাব স্পষ্ট হয়, কিন্তু আফ্রিকা, এশিয়া ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে প্রকৃত ক্ষতি আরও ভয়াবহ। সদ্য ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত সিওপি ৩০( Cop30) সম্মেলনে ধনী দেশগুলো দরিদ্র দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অভিযোজন তহবিল বা ফান্ড তিনগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ২০৩৫ সালের মধ্যে ১২০ বিলিয়ন ডলার পৌঁছালেও তা যথেষ্ট হবে না।
মানুষের সৃষ্টি করা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়েই চলেছে। মানুষ এখনই সাবধান না হলে হয়ত আগামী দিনে এই দুর্যোগেই শেষ হয়ে যাবে আমাদের সাধের পৃথিবী।
পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]

0 মন্তব্যসমূহ