একনজরে

10/recent/ticker-posts

Earth's Mini-Moon গ্রহাণু যখন ‘মিনি মুন’, পৃথিবীর জন্য কতটা ভয়ঙ্কর?


খোশখবর ডেস্কঃ পরিবেশ বিপর্যয় থেকে পরমাণু বোমা, পৃথিবীর জন্য এই মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিপদ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা শোনাচ্ছে আর এক বিপদের কথা – যা হল মিনি মুন বা ছোট্ট চাঁদ। না কোনো মিনি স্যাটেলাইট নয়, একে বলা হচ্ছে এমন এক অনিয়ন্ত্রিত গ্রহাণু যা পৃথিবীর পক্ষে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর।

মিনি মুন-এর ভিডিও দেখে নিন ইউটিউবে 

আমাদের পৃথিবীর চারপাশে, সৌরজগতে মাঝেমধ্যেই ছুটে বেড়ায় নানা আকারের ছোট বড় গ্রহাণু বা অ্যাসট্রয়েড( Asteroid)। আর ‘মিনি–চাঁদ’ মানে—এমন কোনও এক ছোট মহাজাগতিক বস্তু, যেটি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে আবার মহাশূন্যে ভেসে যায়। আর এটা তখনই সম্ভব হয় যখন বাইরে থেকে ছুটে আসা কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের ফাঁদে পড়ে ও ঘুরতে থাকে।

আরও 'খোশখবর' KHOSHKHOBOR/ সার্চ 'গুগল'



এর আগে পৃথিবীর বাইরে কয়েকটি ক্ষুদে মিনি-মুন তৈরি হয়েছে। যেমন বিজ্ঞানীদের দেওয়া নাম অনুসারে 2020 CD3, 2022 NX1, 2023 FW13, 2024 PT5 ইত্যদি। তবে ‘মিনি-মুন কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস বা বছর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ফাঁদে পড়ে এবং পরে আবার সূর্যের কক্ষপথে ফিরে যায়। আইওপি সায়েন্সে প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে 2025 PN7 পৃথিবীর ‘কোয়াসি- মুন হয়ে উঠেছে, যা আমাদের পৃথিবীর চারপাশে ২০৮৩ সাল পর্যন্ত কক্ষপথে ঘুরবে।

‘কোয়াসি-মুন’ বা ‘কোয়াসি- স্যাটেলাইট’ সরাসরি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আবদ্ধ হয় না তবে দেখতে মিনি মুনের মত লাগে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে এগুলো এমন ছোট এক মিটার বা তারও কম আকারের গ্রহাণু সেগুলো পর্যবেক্ষণে সেভাবে ধরা যায় না। আর এখানেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছে তাঁরা। মহাজাগতিক আগ্রহের বিষয় হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়ংকর বিপদ!

https://www.khoshkhobor.in/2025/11/globally-life-expectancy-increased.html

কী সেই বিপদ? আসলে গ্রহাণুর গতিপথ নির্ভর করে সূর্যের টান, পৃথিবীর টান, তার নিজের গতি, এবং মহাশূন্যের অন্যান্য শক্তির জটিল সমীকরণের ওপর। আর আমাদের কক্ষপথে এই অযাচিত অতিথিরা এটি মহাকাশের কোনও একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে প্রবেশ করলে মাধ্যাকর্ষণের সামান্য টানে তার কক্ষপথ সরাসরি পৃথিবীর দিকে ঘুরে যেতে পারে।

একটি ৫০–১০০ মিটার গ্রহাণুও পৃথিবীতে আঘাত করলে মুক্তি পেতে পারে পারমাণবিক বোমার হাজার গুণ শক্তি। মহাসাগরে পড়লে তৈরি হতে পারে ভয়ংকর সুনামি। আর বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরণ ঘটলে দেখা দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি বায়ুমণ্ডলীয় বিপর্যয়।

এমন বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে NASA সহ বিভিন্ন সংস্থা নজরদারি চালাচ্ছে নিয়মিত। গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়ে পথ বদলানোর পাশাপাশি গ্রাভিটি ট্র্যাক্টরের কথাও ভাবা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে বারবার পৃথিবীর কাছাকাছি ছোট-বড় নানা আকারের গ্রহাণু চলে আসছে তাতে ঘুম ছুটছে বিজ্ঞানীদের।

পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code