একনজরে

10/recent/ticker-posts

দাদাসাহেব ফালকে সম্মান কেন দেওয়া হয়?


খোশখবর ডেস্কঃ দাদাসাহেব ফালকেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮৭০ সালে মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দাদাসাহেব ফালকে। তিনি ধুন্ডীরাজ গোবিন্দ ফালকে নামেই পরিচিত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর শিল্পকলার প্রতি একটা বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করা যেত। তবে তাঁর পড়াশুনোর বিষয় ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভাস্কর্য । তাঁর অন্যতম আগ্রহের জায়গা ছিল ফটোগ্রাফি। তখন আন্তর্জাতিক মানচিত্রে সিনেমা সবে বিজ্ঞানের হাত ধরে আধুনিক হচ্ছে। এই সময়ই ১৯০৬ সালে ‘লাইফ অফ ক্রাইস্ট’ নামক নির্বাক ছবি দেখে ভারতেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক চাপে দাদাসাহেব ফালকের মাথায়। লিখে ফেলেন রাজা হরিশ্চন্দ্রের চিত্রনাট্য। প্রযোজনা এবং পরিচালনাও করেন তিনি। ১৯১৩ সাল ভারতীয় সিনেমার মাইলফলক হয়ে দাড়ায়। ওই সালেই রিলিজ হয় ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ এবং তা হয় ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের নির্বাক চলচ্চিত্র। বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয় সে ছবি। এরপর আর ফিরে তাকান নি দাদাসাহেব। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তিনি ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন ।



ভারতীয় সিনেমার উন্নতিকল্পে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয় দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। ভারতীয় সিনেমার জনকের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর ফিল্মজগতের বিশিষ্টদের এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক এই পুরস্কার দেয়। ১৯৬৯ সালে প্রথম এই পুরস্কার প্রাপক ছিলেন দেবিকা রানি। এর পর এই পুরস্কারে ভূষিত হন নৌশাদ, সত্যজিৎ রায়, লতা মঙ্গেশকর, দিলীপ কুমার, যশ চোপরা, রাজ কাপুর, গুলজার, শশী কাপুর, মনোজ কুমার সহ অন্যান্যরা। ২০১৯ সালে এই সম্মান পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।