একনজরে

10/recent/ticker-posts

climate activist Greta স্কুলের পরিবেশ আন্দোলনে আর থাকবেন না গ্রেটা থুনবার্গ, জেনে নিন কেন?


গ্রেটা থুনবার্গ স্কুলে পড়তে পড়তেই পৃথিবীকে বাঁচাতে জলবায়ু রক্ষার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন 

খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে পরিবেশ আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম গ্রেটা থুনবার্গ। স্কুলে পড়তে পড়তেই পৃথিবীকে বাঁচাতে জলবায়ু রক্ষার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৮ সালে এই সুইডিশ কন্যা ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ নামে এক বিশ্বব্যাপী যুব আন্দোলনের সূচনা করেন।জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে গোটা পৃথিবীর শিক্ষার্থীদের প্রতি শুক্রবার তাদের ক্লাস বয়কটের ডাক দেন। গ্রেটার সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ১৮০টিরও বেশি দেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পৃথিবীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে।কিন্তু এবার গ্রেটারই সরে দাঁড়ানোর পালা।কিন্তু কেন?

আসলে স্কুলের পাঠ শেষ করে ফেলেছেন গ্রেটা থুনবার্গ। স্নাতক হয়ে গিয়েছেন তিনি।শুক্রবারই টুইটারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।তিনি লিখেছেন," আজ, আমি স্কুল থেকে স্নাতক হয়েছি, যার মানে আমি আর জলবায়ুর জন্য স্কুল ধর্মঘট করতে পারব না, …এটাই আমার জন্য শেষ স্কুল ধর্মঘট।"


তিনি আরও লিখেছেন, "আমি যখন ১০১৮ সালে স্ট্রাইক শুরু করি তখন আমি কখনই ভাবিনি যে এটা এত বড় হয়ে যাবে, এতে আরও কিছু মানুষ যোগ দিয়েছে এবং হঠাৎ করেই এটি একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হয়ে উঠেছে যা প্রতিদিন বাড়ছে।"

গ্রেটা লিখেছেন, " পরিবেশ নিয়ে আমরা এখনও ভুল পথে এগোচ্ছি, এখানে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের লোভ, মুনাফা এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির নামে খেটে খাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং আমাদের পৃথিবীকে ধ্বংস করার অনুমতি দেওয়া হয়।"



তবে স্কুলে স্ট্রাইক করতে না পারলেও থামছে না গ্রেটার আন্দোলন।৯ জুন শুক্রবার ছিল থুনবার্গের ক্লাস বয়কটের ২৫১ তম সপ্তাহ। এদিন অনান্যদের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁর শেষ স্কুল প্রতিবাদে যোগ দিয়ে গেটা পরিবেশের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাই জানিয়েছেন।

গ্রেটা জানিয়েছেন, “আমরা যারা কথা বলতে পারি তাদের এটা করা কর্তব্য। সবকিছু পরিবর্তন করার জন্য, আমাদের সবাইকে প্রয়োজন। আমি শুক্রবার প্রতিবাদ চালিয়ে যাব, যদিও তা আক্ষরিক অর্থে আমার 'স্কুল স্ট্রাইক' হিসেবে নয়। কারণ এটা করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। লড়াই সবেমাত্র শুরু হয়েছে।"

তথ্যসূত্রঃ euronews.com/green/ ছবি – টুইটার   


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ