একনজরে

10/recent/ticker-posts

your child and grandparents আপনার শিশুটি দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদার সঙ্গ পাচ্ছে তো?


বলা হয় বাবা-মায়ের পর শিশুদের সঙ্গে দাদু-দিদাঠাকুমা-ঠাকুরদার সম্পর্কই সব চেয়ে জরুরী


খোশখবর ডেস্কঃ আজকের শিশুদের কাছে দাদু-দিদা,ঠাকুমা-ঠাকুরদার দিন বোধহয় শেষ। কারণ ছোট ছোট স্কোয়্যার ফুটেমাপা ফ্ল্যাটে তাঁদের আর জায়গা হয় না। তাই তাঁরা থাকেন অনেক দূরের কোনও বৃদ্ধাশ্রমে। মাঝে মধ্যে উইক এন্ড-এ পরিবারের লোক সঙ্গে নিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় নাতি-নাতনির। চেপে রাখা কান্না আর সংবরণ করে রাখা চোখের জলে হাহাকার করে ওঠে আজকের শিশুদের নিয়ন্ত্রিত শৈশব। বলা হয় বাবা-মায়ের পর শিশুদের সঙ্গে দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদার সম্পর্কই সব চেয়ে জরুরী। মনোবিদরা বলেন নাতি - নাতনির সঙ্গে তার দাদু-দিদা,ঠাকুমা-ঠাকুরদার সম্পর্কের কোনও বিকল্প হয় না।

বাবা-মা যেমন তার শিশু সন্তানের জন্য দাদু-ঠাকুমাদের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করতে পারে না তেমনই দিদা-ঠাকুরমারাও কোনও অজুহাতেই ঠেলে দূরে সরিয়ে দিতে পারেন না একটি শিশুর শৈশবের ভালবাসা পাওয়ার অধিকারকে। অভিজ্ঞতার নিরিখে বাবা-মায়ের চেয়েও অনেক বেশী জ্ঞান তারা ধারণ করেন। একটি পরিবারের কাছে এটি সম্পদের মত। এক পা এক পা করে বড় হওয়া একটা শিশুর কাছে তার দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদা হলেন জ্ঞানের ভাণ্ডার। জীবনের ডালপালা মেলতে সবচেয়ে বড় বন্ধু। একটু ভুলচুক হওয়া কোনও বিকেলে বাবা-মায়ের বকুনি এড়াতে শিশুদের নিশ্চিত আশ্রয় তো তাঁরাই।



কথায় বলে বয়সকালে মানুষ শিশু হয়ে যায়। মাঠে–ঘাটে-পরিবারের অন্দরে শিশুরাই হয়ে ওঠে তাঁদেরসঙ্গী। নিঃসঙ্গ অবসর জীবনে নাতি বা নাতনিকে পেয়ে খুঁজে পান জীবনের অন্য মানে। দাদু-দিদা,ঠাকুমা-ঠাকুরদারকাছে ঠাকুমার ঝুলি, ঠাকুরদার ঝুলির গল্প শুনতে শুনতে বড় হয় শিশুটি। হাজারো প্রশ্ন, হাজারো জিজ্ঞাসা, হাজারো বায়না সামলে আমার আপনার শিশুকে তো মানুষ করে দেন ভারতবর্ষের লক্ষ-কোটি দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদারাই।



এরই পাশাপাশি দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদার কাছেই বাবা-মা কে মানুষ হিসেবে চিনতে শেখে শিশুরা। এঁদের কাছেই তারা শুনতে পায় বাবা-মায়ের ছোটবেলার গল্প, তাঁদের দুষ্টুমির গল্প। বাবা-মাও যে একদিন তাদের মতো ছোট ছিল তা জানতে পেরে অবাক হয়ে যায় তারা। ধীরে ধীরে তারা বুঝতেপারে একদিন বাবা-মা বুড়ো হয়ে যাবে আর তারা নিজেরা হবে বাবা-মা। ছোটবেলার খেলার সঙ্গী দাদু-দিদা, ঠাকুমা-ঠাকুরদাকে সম্মান করতে শেখে তারা। তৈরি হয় এক পারিবারিক বন্ধন। শিশুকে এমন পারিবারিক ভালবাসার বন্ধন থেকে সরিয়ে সরিয়ে রাখাটা একটা অন্যায়। তার সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার পথে একটা বিশাল পাচিল। ফ্ল্যাট বন্দি একলা ঘরে কার্টুন দেখতে দেখতে ক্লান্ত শিশুটির খিটখিটে মেজাজ দেখে মনোবিদের কাছে যাওয়ার কথা ভাবছেন? এর কোনও প্রয়োজন নেই। আলাদা থেকে গুমরে মরা দাদু-দিদা,ঠাকুমা-ঠাকুরদার কাছে ওর পৌঁছনোর দরজাটা খুলে দিন। শৈশবের রামধনুটার নাগাল পাবেন আপনিও।

Image from Pixabay

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ