একনজরে

10/recent/ticker-posts

India's first solar mission ভারতের সূর্য অভিযান কেন? কত দূরে থাকবে আদিত্য? জানুন এই মিশনের নানা তথ্য।


সূর্য থেকে অনেকটা দূরে থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে আদিত্য

খোশখবর ডেস্কঃ চন্দ্র জয়ের পর এবার সূর্যে অভিযান।২ সেপ্টেম্বর শনিবার নির্ধারিত সময়েই সূর্যের পথে ছুটে যাবে ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য এল ১।যেখান থেকে চন্দ্রযান ৩এর উৎক্ষেপণ হয়েছিল সেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকেই উৎক্ষেপণ করা হবে আদিত্য এল ১। পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল ( পিএসএলভি এক্স এল সি ৫৭) এই ১৪৭৫ কেজি ওজনের মহাকাশযানকে নিয়ে যাবে।ইসরোর হিসেব মত শনিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে ভারতের এই মহাকাশযান।শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউনও।





সূর্যের কত দূরে থাকবে আদিত্য এল ১ ?

ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর পিঠে চড়ে নিরাপদে চাঁদের মাটিতে নেমেছিল ল্যান্ডার ও রোভার।তবে সূর্য অভিযানে মহাকাশযান সূর্যের বুকে নেমে পড়বে এমনটা ভাবা ভুল হবে। সূর্য থেকে অনেকটা দূরে থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে আদিত্য।যে পয়েন্টে থেকে এই পরীক্ষা চলবে তার নাম ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট।এই পয়েন্ট পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।


আদিত্য এল ১

ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট ব্যাপারটা কী?

এই পয়েন্ট হল এমন একটা জায়গা যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর বিপরীত আকর্ষনের ফলে কোনও বস্তু ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ভেসে থাকতে পারে।মহাকাশে এইরকম ৫টি জায়গা আছে।ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জিউসিপ্পে লুইগি ল্যাগারাঞ্জের নাম থেকে মহাকাশের এই জায়গার নামকরণ করা হয়েছে।যে জায়গায় আদিত্য এল ১ থাকবে তা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এটি ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট ১।এখানে তার ভেসে থাকতে কোনও জ্বালানি খরচ লাগবে না।

কত দিন লাগবে ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্টে যেতে?

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয়ে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরাঞ্জ পয়েন্ট -এ গিয়ে থিতু হতে আদিত্যর সময় লাগবে প্রায় চার মাস।এই পথে ছবিও পাঠাবে আদিত্য এল ১।

কী কী বিষয়ে,কত বছর ধরে চলবে গবেষণা?

নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছনোর পর পাঁচ বছর ধরে সূর্য এবং মহাকাশের আবহাওয়া সম্পর্কিত একাধিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে আদিত্য এল১। সূর্য কী ভাবে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে তা নিয়েও চলবে পরীক্ষা।এছাড়া সৌর বায়ুমণ্ডল (ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনা) নিয়ে গবেষণা, সৌর করোনায় চৌম্বক ক্ষেত্র টপোলজি এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিমাপ ইত্যাদি নিয়ে চলবে গবেষণা। 


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ