একনজরে

10/recent/ticker-posts

Species At Risk Of Extinction বিলুপ্তির পথে বিশ্বের ৪৮,৬৪৬ প্রজাতি, ভয়ঙ্কর বিপদের কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা


খোশখবর ডেস্কঃ ক্রমেই বিভিন্ন প্রজাতির কাছে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে আমাদের এই বসুন্ধরা।বিশ্বের শীর্ষ সংরক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (IUCN) তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, সংস্থার সর্বশেষ লাল তালিকায় এখন রয়েছে মোট ১,৭২,৬২০টি প্রজাতি। এর মধ্যে ৪৮,৬৪৬টি প্রজাতি বিলুপ্তির পথে রয়েছে।এই তথ্য দিয়েছে এনডিটিভি ডট কম।

সদ্য আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন কংগ্রেস-এ IUCN-এর মহাপরিচালক গ্রেথেল অ্যাগুইলার জানিয়েছেন যে মানুষের বেপরোয়া কাজকর্ম প্রকৃতি ও জলবায়ুর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে এবং এর ভয়াবহ পরিণতি পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে।

আইইউসিএন বা The International Union for Conservation of Nature জানায়, মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং মানুষের সমুদ্রে বিভিন্ন যান নিয়ে দাপাদাপি সিল প্রজাতির জন্য প্রধান হুমকি হয়ে উঠেছে। আইইউসিএন তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে হুডেড সিল-এর পরিস্থিতি অতিসংবেদনশীল( ভালনারেবল) থেকে বিলুপ্তির মুখে (এন্ডেঞ্জার্ড) শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি বিয়ার্ডেড সিল এবং হার্প সিলও এখন বিপন্নতার কাছাকাছি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্য আর্কটিক অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন অন্য যেকোনও অঞ্চলের চেয়ে চার গুণ দ্রুত ঘটছে।এর ফলে বরফের স্তর ও সমুদ্রের বরফাচ্ছন্ন সময়কাল মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে।এর ফলে বরফনির্ভর প্রাণী যেমন সিল বিপন্ন হচ্ছে পাশাপাশি তারা (সিল) অন্য বহু প্রাণীর খাদ্যের যে উৎস তাতেও টান পড়ছে। আসলে তারা খাদ্যশৃঙ্খলের একটি মূল অংশ—মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে পুষ্টি পুনর্ব্যবহার করে এবং পুরো ইকোসিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নরওয়ের পোলার ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কিট কোভ্যাকস এই ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন কংগ্রেস-এ জানিয়েছেন যে, “মাত্র দুই দশক আগেও যেখানে পাঁচ মাস বরফে ঢাকা থাকত, এখন সেই অঞ্চলগুলো পুরো শীতে বরফমুক্ত। আর্কটিক অঞ্চলের এই দ্রুত পরিবর্তন ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।”

পৃথিবীর যা পরিবেশের অবস্থা তাতে পাখিদের অবস্থাও উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে আইইউসিএন।তাদের নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজারো বিশেষজ্ঞের কাজে প্রস্তুত করা ‘রেড লিস্ট অব বার্ডস’এ বলা হয়েছে - বিশ্বের মোট পাখি প্রজাতির ৬১ শতাংশের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, যা ২০১৬ সালের ৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে গেছে।

বলা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ১১,১৮৫টি পাখির প্রজাতিকে ধরে করা মূল্যায়নের মধ্যে ১,২৫৬টি (১১.৫%) বর্তমানে গ্লোবালি থ্রেটেন্ড বা বিশ্বজুড়ে বিপন্ন। বলা হচ্ছে মাদাগাস্কার, পশ্চিম আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকা অঞ্চলে বন ধ্বংস এবং কৃষি সম্প্রসারণের কারণে বিপন্ন প্রজাতির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

তথ্যঃ ndtv.com

পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code