একনজরে

10/recent/ticker-posts

Super-Earth 20 Light-Years পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরেই ‘সুপার আর্থ’! জানুন অবাক করা তথ্য


খোশখবর ডেস্কঃ পৃথিবীর বাইরে কী আমাদের মত বুদ্ধিমান প্রাণীরা আছো? সেটি(SETI) পোগ্রামের মাধ্যমে সেই আটের দশকেই হাঁক পেড়ে ছিলেন বিখ্যাত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী কার্ল সাগান।কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহাবিশ্বে বহু এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান মিলিলেও মানুষের মত বা তার চেয়েও উন্নত বুদ্ধিমান কারও খোঁজ পায় নি বিজ্ঞানীরা।সদ্য সম্ভাব্য ‘সুপার আর্থ’ এক্সোপ্ল্যানেট বা বহির্গ্রহের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।প্রায় দু দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করে এই গ্রহটি শনাক্ত করা হয়েছে।

কোথায় আছে সেই এক্সোপ্ল্যানেট?

বলা হচ্ছে নতুন এই ‘সুপার আর্থ’ পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।বিজ্ঞানীরা তাদের ভাষায় এর নাম দিয়েছেন GJ 251 c - যা হতে পারে মানবজাতির পরবর্তী মহাজাগতিক প্রতিবেশী, যেখানে জীবনের সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।এই আবিষ্কার মহাবিশ্বে বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধানে নতুন আশার আলো জ্বেলেছে।গবেষকরা বলছেন, এই গ্রহটি তার নক্ষত্রের থেকে এমন ‘গোল্ডিলক্স জোন’-এ রয়েছেন যেখানে সঠিক তাপমাত্রা থাকলে তরল জলের অস্তিত্ব সম্ভব।

কারা করলেন এই আবিস্কার?

এই গ্রহের আবিস্কার করেছেন একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (Penn State University)-এর বিজ্ঞানীরাও রয়েছেন।বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন Habitable-Zone Planet Finder (HPF) — একটি অত্যাধুনিক নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ, যা নক্ষত্রের আলোর সূক্ষ্মতম পরিবর্তন বিশ্লেষণ করতেও সক্ষম। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে তৈরি করা HPF টেলিস্কোপটি টেক্সাসের ম্যাকডোনাল্ড অবজারভেটরিতে বসানো হয়েছে।

এই নতুন এক্সোপ্ল্যানেট কেমন?

বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি ভরের এবং সম্ভবত এটি একটি শিলা-গঠিত (rocky) গ্রহ।আকার ও ভরের বিচারে GJ 251 c কে বলা হচ্ছে একটি ‘সুপার আর্থ’ — অর্থাৎ পৃথিবীর চেয়ে বড়, কিন্তু নেপচুনের মতো গ্যাসীয় গ্রহ নয়। বিজ্ঞানীদের মতে, যদি গ্রহটির সঠিক ধরনের বায়ুমণ্ডল থাকে, তবে এর বুকে জল থাকতে পারে — যা জীবন সৃষ্টির জন্য একটি মৌলিক শর্ত।

পিন্টারেস্টে ‘খোশখবরের’ আশ্চর্য দুনিয়া।ক্লিক করুন এই লিঙ্কে


[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. খুব তথ্যপূর্ণ খবর।অনেক কিছু জানলাম।খোশ খবরকে ধন্যবাদ।খোশ খবর এগিয়ে চলুক।

    উত্তরমুছুন

Ad Code