লক্ষ কোটি ফ্যানের হৃদয়ে ঢেউ তোলা সঙ্গীত শিল্পীদের জগৎটাই আলাদা
আরও পড়ুনঃ অ্যালবাম ‘ডিভাইন টাইডস’-এর জন্য তৃতীয় গ্র্যামি জিতলেন রিকি কেজ
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী সঙ্গীতশিল্পী
১. রিহানা
মোট সম্পদ মূল্য – ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
রবেইন রিহানা ফেন্টি বা রিহানার জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮।তিনি একজন বার্বাডিয়ান গায়ক, গীতিকার, এবং অভিনেত্রী। জন্ম বার্বাডোসের সেন্ট মাইকেলে। বেড়ে ওঠেছেন ব্রিজটাউনে। সঙ্গীত দুনিয়ায় পা রাখেন ২০০৩ সালে।সঙ্গীত শিল্পী রিয়ানা বা রিহানা আটটি গ্রামি, বারোটি আমেরিকান মিউজিক অয়াওয়ার্ডস, বারোটি বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস সহ অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন।তিনি ২০১৪ সালে কাউন্সিল অফ ফ্যাশন ডিজাইনার্স অফ আমেরিকা থেকে ফ্যাশন আইকন লাইফটাইম পুরস্কার লাভ করেন। ফোর্বস রিয়ানাকে ২০১২ সালের চতুর্থ সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সেলেব্রেটি হিসাবে নির্বাচিত করে, এবং পরের বছর টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে পৃথিবীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় তাকে স্থান দেয়।
২. পল ম্যাককার্টনি
মোট সম্পদ মূল্য – ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
ব্রিটিশ পপ সঙ্গীত তারকা স্যার পল ম্যাককার্টনির জন্ম ১৯৪২ সালের ১৮ জুন। ১৯৬০ এর দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল দ্য বিটলস - এর সদস্য ছিলেন। পরে বিটল্স ভেঙে যাওয়ার পর একক হয়ে পড়ে তাঁর পথ চলা।সঙ্গীত জীবনে তিনি একক ভাবেই সাফল্য লাভ করেন। সঙ্গীতে তার অবদানের জন্য তাঁকে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইট খেতাব প্রদান করেন।
৩. পল হিউসন
মোট সম্পদ মূল্য – ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
আইরিশ গায়ক, গীতিকার, সুরকার, ব্যবসায়ী পল ডেভিড হিউসন গানের জগতে বোনো নামেই বেশি পরিচিত।তাঁর জন্ম ১৯৬০ সালের ১০মে। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ভিত্তিক রক ব্যান্ড দল ইউ-টু -এর প্রধান গায়ক। নিজের ব্যান্ডের বাইরে বোনো আরো অনেক বিখ্যাত সংগীত শিল্পীদের সাথে বিভিন্ন কাজ করেছেন। পেয়েছেন বহুন্ন পুরস্কার।ব্রিটেনের সম্মানজনক নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। বিল ও ম্যালিন্ডা ফাউন্ডেশন তাকে ২০০৫ সালেটাইম পার্সন অব দ্য ইয়ার নির্বাচন করে।
৪. ম্যাডোনা
মোট সম্পদ মূল্য – ৫৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
আমেরিকার খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী,গীতিকার,নৃত্যশিল্পী, অভিনয়শিল্পী ও ব্যবসায়ী ম্যাডোনা লুইজ সিকোন ম্যাডোনা নামেই পরিচিত।তার জন্ম ১৯৫৮ সালের ১৬ই আগস্ট। তাঁকে আমেরিকান পপ সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের মধ্যে একজন বলা হয়ে থাকে। তাঁকে ‘পপ সম্রাজ্ঞী’ বলা হয়। তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত ও সফল মহিলা সঙ্গীত শিল্পী।
তাঁর গানের রেকর্ড সারা পৃথিবীজুড়ে ৩৫ কোটি বারেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। ২০০৮-৯ সালের "স্টিকি এ্যান্ড সুইট ট্যুর" আজও একজন মহিলা সঙ্গীতশিল্পীর সর্বোচ্চ উপার্জন করা কনসার্ট সফর বলে মানা হয়।যে কনসার্টের টিকিট বিক্রি থেকে ম্যাডোনা ৪৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনারও।
৫. টেলর সুইফট
মোট সম্পদ মূল্য – ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
গ্র্যামি বিজয়ী মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার, প্রযোজক, এবং অভিনেত্রী টেইলর অ্যালিসন সুইফট – এর জন্ম ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৯। ২০০৮ এর নভেম্বরে টেইলর সুইফট তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ফিয়ারলেস প্রকাশ করেন। ফিয়ারলেস - এর বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ২.১ এবং ১.৫ মিলিয়ন। এই অ্যালবাম বিলবোর্ড ২০০ চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে শীর্ষস্থান দখল করেছিল।আমেরিকার ফোর্বস ম্যাগাজিনের র্যাঙ্কিং-এ সুইফটের অবস্থান ছিল ৬৯তম শক্তিমান তারকা যার আয়ের পরিমাণ ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে বিলবোর্ড সুইফটকে বর্ষসেরা শিল্পীর খেতাব প্রদান করে। ফিয়ারলেস ২০১০ সালের বর্ষসেরা অ্যালবাম হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার অর্জন করে।
৬. এলটন জন
মোট সম্পদ মূল্য – ৫২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
ইংরেজ গায়ক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এলটন জনের জন্ম ২৫শে মার্চ ১৯৪৭। পুরো নাম স্যার এলটন হারকিউলিস জন। ছোটবেলায় তার নাম ছিল রেজিনাল্ড কেনেথ ডোয়াইট। ৩০টিরও বেশি গানের এলবাম প্রকাশ করেছেন। ২৫০ মিলিয়নেরও বেশী গানের রেকর্ড বিক্রি হয়েছে তাঁর। একক এলবাম ক্যান্ডল ইন দি উইন্ড( ১৯৯৭) বিশ্বব্যাপী ৩৩ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রী হয় এবং বিলবোর্ড হট ১০০ এর ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত একক এলবামের তালিকায় স্থান করে নেয়।
৭. গ্লোরিয়া এস্তেফান
মোট সম্পদ মূল্য – ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
কিউবান-আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেত্রী এবং ব্যবসায়ী গ্লোরিয়া এস্তেফানের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর।সাতবার গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী।বিলবোর্ডে সর্বকালের সেরা ১০০ সেরা শিল্পীদের মধ্যে একজন মনোনীত।এস্তেফানের রেকর্ড বিক্রি বিশ্বব্যাপী ৭৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। যা তাকে ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বিক্রিত মহিলা লাতিন শিল্পী এবং সর্বকালের সেরা-বিক্রীত মহিলা গায়কদের একজন করে তুলেছে। তাঁকে ‘লাতিন পপের রানী’ বলে ডাকা হয়।বিলবোর্ড লাতিন অ্যালবাম এবং ল্যাটিন গানের চার্টের উপর ভিত্তি করে এস্তেফানকে তৃতীয় সর্বাধিক সফল ল্যাটিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের ২৩তম লাতিন শিল্পী হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
৮. সেলিন ডিওন
মোট সম্পদ মূল্য – ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
কানাডিয়ান গায়িকা সেলিন ডিয়নের( মারি ক্লদেত দিয়ঁ)জন্ম ৩০ মার্চ ১৯৬৮ সালে। ১৯৮০-এর দশকে কয়েকটি ফরাসি ভাষার অ্যালবাম করে সঙ্গীত ভূবনে আত্মপ্রকাশ। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন ১৯৮২ সালে ইয়ামাহা ওয়ার্ল্ড পপুলার সং ফেস্টিভ্যাল ও ১৯৮৮ সালে ইউরোভিশন সং কনটেস্টে জয় পাওয়ার পর।এরপর তিনি ইংরেজি ভাষা শেখেন। দিয়োঁ তার প্রথম ইংরেজি ভাষার অ্যালবাম।১৯৯০-এর দশকে কয়েকটি সর্বাধিক বিক্রি হওয়া ইংরেজি অ্যালবাম প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।তার আ নিউ ডে... ইন লাস ভেগাস স্ট্রিপ (২০০৩-০৭) সর্বকালের সর্বাধিক আয় হওয়া কনসার্ট রেসিডেন্সি এবং টেকিং চান্সেস ওয়ার্ল্ড টুর (২০০৮-০৯) সর্বকালের সর্বাধিক আয় হওয়া কনসার্ট ট্যুর।তবে টাইটানিকের গান তাঁকে বিখ্যাত করে দিয়েছে।
৯. বিয়ন্সে
মোট সম্পদ মূল্য – ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী বিয়ন্সেকে(বিয়ন্সে জিসেল নোলস) এই শতকের প্রথম দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল গায়িকা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। জন্ম ১৯৮১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। ২০১২ সালে জনপ্রিয় সাময়িকী ‘পিপল’ বিয়ন্সে নোয়েলসকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে মনোনীত করে। তাঁকে গ্র্যামির রানীও বলা হয়।৫২তম গ্র্যামির আসরে শীর্ষ ৬টি পুরস্কার জিতেছেন বিয়ন্সে নোয়েলস।তিনিই প্রথম গায়িকা, যিনি গ্র্যামির এক আসরে সর্বাধিক পুরস্কার জিতেছেন। পেয়েছিলেন সর্বাধিক মনোনয়ন।
১০. ব্রুস স্প্রিংস্টিন
মোট সম্পদ মূল্য – ৪৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার(প্রায়)
আমেরিকান গায়ক, গীতিকার এবং সঙ্গীতজ্ঞ ব্রুস ফ্রেডরিক জোসেফ স্প্রিংস্টিনের জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর,১৯৪৯ সালে। তিনি হার্টল্যান্ড রকের একজন প্রবর্তক, যা মার্কিন শ্রমিক-শ্রেণির জীবন সম্পর্কে কথা বলে।তাঁর ডাকনাম ‘দ্য বস’।তিনি ২০টি গ্র্যামি পুরস্কার, দুটি গোল্ডেন গ্লোব, একটি একাডেমি সহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন।স্প্রিংস্টিনের গানের অ্যালবাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭১ মিলিয়নেরও বেশি এবং বিশ্বব্যাপী ১৪০ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে - যা তাকে সর্বকালের সেরা-বিক্রীত সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে একজন করে তুলেছে।
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ