একনজরে

10/recent/ticker-posts

World Turtle Day মানুষই বিপদ, গোটা পৃথিবী জুড়েই বিপন্ন অসহায় কচ্ছপকুল


প্রায় ২০০ বছরে মানুষের নানা উৎপাতে বিপন্ন হতে বসেছে কচ্ছপ ও কাছিমের বিভিন্ন প্রজাতি।


খোশখবর ডেস্কঃ গোটা পৃথিবী জুড়েই সংকটে কচ্ছপ ও কাছিমের বিভিন্ন প্রজাতি।সরীসৃপ প্রানী কচ্ছপ বা Tortoise জল এবং ডাঙা দুই জায়গাতেই বাস করে। বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে কচ্ছপের ৩০০র বেশী প্রজাতি রয়েছে।এদের মধ্যে অনেকেই মারাত্মক ভাবে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। অন্যদিকে কাছিম বা Turtles দের বাস সমুদ্রেই। একমাত্র ডিম পাড়ার সময়ে স্ত্রী কাছিম সমুদ্র তীরের খুব নির্জন জায়গায় চলে আসে। ডিম ফুটে হওয়া বাচ্চা কাছিম ফের গভীর সমুদ্রে চলে যায়।গোটা জীবনচক্র সাগরেই কেটে যায়।



সামুদ্রিক কচ্ছপ হল সরীসৃপদের একটি গোষ্ঠীর জীবন্ত প্রতিনিধি যারা পৃথিবীতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে বিচরণ করছে। এদের সাতটি প্রজাতির মধ্যে পাঁচটি সারা বিশ্বে পাওয়া যায়।ভারত মহাসাগর থেকে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের বালুকাময় সৈকত পর্যন্ত গ্রিন, হকসবিল, লগারহেড, লেদারব্যাক এবং অলিভ রিডলি নামের এই পাঁচ প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপের জীবনযাত্রায় নজর রাখে WWF। কেম্পস রিডলি প্রধানত মেক্সিকো উপসাগরে এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ পাপুয়া নিউ গিনির আশেপাশে ফ্ল্যাটব্যাকদের পাওয়া যায়।



গত প্রায় ২০০ বছরে মানুষের নানা উৎপাতে বিপন্ন হতে বসেছে কচ্ছপ ও কাছিমের বিভিন্ন প্রজাতি। ডিম, মাংস, চামড়া এবং খোলার জন্য কচ্ছপ শিকার লাগামছাড়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর সঙ্গে আছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। কাছিমের সাতটি প্রজাতির মধ্যে তিনটিই গুরুতরভাবে বিপন্ন। সমস্ত প্রজাতির কাছিম এবং কচ্ছপদের সুরক্ষার জন্যই ১৯৯০ সালে তৈরি হয় একটি অলাভজনক সংস্থা ‘আমেরিকান টার্টল রেসকিউ’। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুসান টেলেম এবং মার্শাল থম্পসনই ২০০০ সালে বিশ্ব কচ্ছপ দিবসের সূচনা করেন। কচ্ছপকূলকে বাঁচাতে প্রায় ৪০০০ কাছিমকে লালনপালন করে ‘আমেরিকান টার্টল রেসকিউ’। চোরাশিকারিদের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া বা পরিবেশে আহত, অসুস্থ, অবহেলিত বা পরিত্যক্ত টার্টলদের তারা সেবা শুশ্রূষা করেন।



বিশ্ব কচ্ছপ দিবস প্রতি ২৩ মে বার্ষিক পালন করা হয়।কচ্ছপ লুপ্তপ্রায় প্রাণী।পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে ঠিকমতো বজায় রাখতে কচ্ছপের সংখ্যা যাতে কমে না যায় সেজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করাই বিশ্ব কচ্ছপ দিবসের উদ্দেশ্য।

[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]

[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ।তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।] 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ