খোশখবর ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের কথা উঠলেই অনেকে বলে ফেলেন বৃহৎ অর্থনীতির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, জাপান, জার্মানির মত দেশের কথা।অথচ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এর তথ্য অনুযায়ী মাথাপিছু জিডিপির ভিত্তিতে তৈরি বিশ্বের ধনী দেশের হিসেবটা আলাদা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর তালিকা তৈরি করতে প্রতিটি দেশের মাথাপিছু জিডিপির হিসেব নেওয়া হয়।এই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় অনেকে এগিয়ে লুক্সেমবার্গ, ম্যাকাও এসএআর, আয়ারল্যান্ডের মত দেশ।
আরও পড়ুনঃ
জিডিপি ও পিপিপি ব্যাপারটা কী?
জিডিপি বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট একটি দেশে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য পরিমাপ করে।কোনও দেশের জিডিপি সংখ্যাকে দেশের বাসিন্দাদের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে সে দেশের সাধারণ জনগণ কতটা ধনী বা দরিদ্র তার ধারণা মেলে। জিডিপি বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট দেশে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও পরিষেবার মূল্য পরিমাপ করে।পিপিপির অর্থ হল ‘পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি’।এ থেকে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আন্দাজ পাওয়া যায়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং দরিদ্রতম দেশগুলির স্থান নির্ধারণের জন্য এই পরিসংখ্যানেরই সাহায্য নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ
মাথাপিছু জিডিপি-পিপিপি অনুসারে শীর্ষ ১০ দেশ/
(২০২৪ সালের হিসেব/মার্কিন ডলারে)
১। লুক্সেমবার্গ, ইউরোপ – ১৪৩,৭৪০
২। ম্যাকাও এসএআর,এশিয়া – ১৩৪,১৪০
৩। আয়ারল্যান্ড, ইউরোপ – ১৩৩,৯০০
৪। সিঙ্গাপুর, এশিয়া -১৩৩,৭৪০
৫। কাতার,এশিয়া – ১১২,২৮০
৬। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি,এশিয়া – ৯৬,৮৫০
৭। সুইজারল্যান্ড,ইউরোপ – ৯১,৯৩০
৮। সান মারিনো, ইউরোপ – ৮৬,৯৯০
৯। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর আমেরিকা – ৮৫,৩৭০
১০। নরওয়ে, ইউরোপ – ৮২,৮৩০
[ছবি সৌজন্যঃ খোশখবর সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে পিক্সাবে, আনস্প্ল্যাস, ফ্রিপিক, উইকিমিডিয়া কমন্স, গুগল ফটো সহ বিভিন্ন নিজস্ব সূত্র থেকে]
[ জ্ঞান বা তথ্যের কোনও কপিরাইট হয় বলে আমরা মনে করি না। পৃথিবীর বুকে প্রকাশিত অগুনতি বই, লাইব্রেরিতে ঠাসা সমুদ্র সমান জ্ঞান, অন্তর্জালে ছড়িয়ে থাকা আকাশ সমান তথ্য থেকে দু-একটি তুলে এনে পাঠকদের সামনে রাখাই এই ব্লগসাইটের কাজ। তবে জ্ঞানত কোনও ভুল,বিকৃত বা অন্ধ ভাবনার তথ্য প্রকাশ করবে না ‘খোশখবর’।]
0 মন্তব্যসমূহ